শেয়ার বিজ ডেস্ক:নাগরিকদের করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কভিড-১৯) টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ার জন্য বিভিন্ন পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দেশটিতে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর গত ২৫ মে পর্যন্ত কমপক্ষে এক ডোজ নিয়েছেন ৫০ শতাংশ নাগরিক। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চাইছেন, আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক কমপক্ষে টিকার এক ডোজ নিক। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য নানা ধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। খবর: এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে, যারা টিকা নেবেন, তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে কয়েকজনকে পিকআপ ট্রাক ও শিকারের জন্য নিবন্ধন অথবা রাইফেল দেয়া হবে।
ওই রাজ্যের পার্বত্য এলাকাগুলোয় টিকা কার্যক্রম শ্লথ হয়ে যায়। সেখানে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন গ্রহীতার সংখ্যা ৪১ শতাংশ। এছাড়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দারাও টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন। তাই টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়াতে নতুন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার দেশটির গভর্নর জিম জাস্টিস ঘোষণা দেন, আগামী ২০ থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত যারাই টিকা নেবেন, তাদের মধ্য থেকে লটারি করে পুরস্কার দেয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে এ লটারি হবে।
সপ্তাহে প্রতি বুধবার এ লটারি অনুষ্ঠিত হবে। লটারি করে দুজনকে দেয়া হবে পিকআপ ট্রাক। পাঁচজনকে দেয়া হবে শিকার ও মাছ ধরার লাইসেন্স। আজীবনের জন্য দেয়া হবে এ লাইসেন্স। ১০ জনকে দেয়া হবে বন্দুক। এছাড়া অঙ্গরাজ্যের ন্যাচারাল পার্কের সাপ্তাহিক ছুটিতে থাকার সুযোগ পাবেন লটারি বিজয়ীরা।
১০ লাখ মার্কিন ডলারের আর্থিক পুরস্কারের ব্যবস্থাও করেছে এ অঙ্গরাজ্যের সরকার। এছাড়া ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের জন্য থাকছে বৃত্তির ব্যবস্থা। এ বৃত্তি দিয়ে অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবেন তারা।
অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ক্লে মার্শ বলেন, জনগণের একটি বড় অংশ এখনও টিকা গ্রহণ করেননি। তারা টিকা নেয়ার সিদ্ধান্তও নেননি।
এর আগে গত মাসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা টিকা নিলে পাবেন ১০০ ডলারের সঞ্চয়ী সার্টিফিকেট। এ বয়সীদের মধ্যে টিকা নেয়ার প্রবণতা সবচেয়ে কম।
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ছাড়াও ওহাইওসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য এমন লটারি চালু করেছে। অনেক অঙ্গরাজ্য নগদ অর্থ দিচ্ছে। অনেক অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে পানীয়, পিৎজা ইত্যাদি। তিনি বলেন, এটি ছিল ফেক নিউজের চক্করে না পড়ে জনগণের কাছে আমার চিন্তা ও ভাবনা পৌঁছানোর একটি সাময়িক উপায়, কিন্তু এটি কোনো প্ল্যাটফর্ম নয়।
