শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, উন্নত জীবন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ হাতছানি দিয়ে ডাকে বিশ্বের প্রায় সব দেশের অনেক মানুষকে। সেই দেশের দুই কোটির বেশি মানুষের দিন কাটছে খাবার সংকটে। খবর: আল জাজিরা।
আদমশুমারি ব্যুরোর অনুমান, চলতি মাসের শুরু থেকে খাবার সংকটে ভুগছেন দুই কোটি ১০ লাখ নাগরিক। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কভিড-১৯ মহামারিতে সরকার অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বেড়ে যায় প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তাই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আদমশুমারির জরিপ বলছে, চলতি বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাইল্ড ট্যাক্সের অর্থ দিয়ে বেশিরভাগ অভিভাবক পরিবারের জন্য খাবার কিনেছেন।
আদমশুমারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নি¤œ আয়ের পরিবারগুলো আরও আর্থিক চাপে পড়তে পারে, কারণ দেশটির সরকার চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট পেমেন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমর্থিত এ কর্মসূচির মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে। এ বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে ছয় দশমিক চার শতাংশ। তবে পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
আদমশুমারি ব্যুরোর হাউসহোল্ড পালস জরিপের তথ্যে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে মাঝে মাঝে বা প্রায়ই খাবার সংকটে ভুগছে এমন পরিবারের সংখ্যা ডিসেম্বরে বেড়ে ৯ দশমিক সাত শতাংশ হয়েছে, গত পাঁচ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিটের সর্বশেষ পেমেন্ট গত ১৫ ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। মূলত বছরে এক লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের কম উপার্জনকারী দুই অভিভাবকের ট্যাক্স রিটার্নের অগ্রিম হিসেবে কাজ করে চাইল্ড ট্যাক্স। এ স্কিমের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সব পরিবার ছয় বছরের নিচে একেকটি শিশু মাসিক ৩০০ ডলার পেয়ে থাকে সরকারের কাছ থেকে। অনূর্ধ্ব ১৮ বয়সী শিশুর জন্য ২৫০ ডলার বরাদ্দ রয়েছে। তবে এর বেশি অর্থ উপার্জনকারী পরিবারগুলোও সরকারের কাছ অর্থ সহায়তা পায়, যা তুলনামূলক কম। এ অর্থ সহায়তা স্থায়ী করা হলে দেশটিতে শৈশবকালীন দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।
