Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:10 pm

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে মুরগির দাম

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড বেড়েছে মুরগির দাম। গরু ও শূকরের মাংসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে বিপর্যস্ত বেশিরভাগ ক্রেতা আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মুরগির মাংস কেনার দিকে ঝুঁকছেন বলে জানায় টাইসন ফুডস ও অন্য কোম্পানিগুলো। খবর: রয়টার্স।

মুরগির শীর্ষ সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান ও পিলগ্রিম’স প্রাইড চড়া দামের সুযোগে ব্যাপক লাভ করলেও ভোক্তাদের পকেট ফাঁকা হচ্ছে। ফলে হাই-লেভেল প্রোটিন থেকে মুখ ফিরিয়ে বেশিরভাগ ক্রেতা অর্থ সাশ্রয়ের চেষ্টা করছেন। একটি সূচকে দেখা গেছে, মুরগির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা করেছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের তথ্য অনুযায়ী, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চলতি বছর মুরগির মাংসের মাথাপিছু চাহিদা ১০০ পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে। দেশটিতে গবাদিপশুর সরবরাহ কমে যাওয়ায় গরু, শূকর ও ভেড়ার মাংসের বাড়তি দাম এর প্রধান কারণ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশে ২০১৮ সালের পর এবারই গরুর মাংস খাওয়ার হার সবচেয়ে নিচে নেমে যাবে। বাড়তি মূলস্ফীতির কারণে ২০১৫ সাল থেকে ভোক্তারা শূকরের মাংস খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন।

আরকানসাসভিত্তিক পোলট্রি কোম্পানি টাইসন তিন ধরনের মাংস উৎপাদন ও বিক্রি করে থাকে। কভিড-১৯ মহামারিতে মাংসের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় তারা একচেটিয়া মুনাফা করেছে। এছাড়া মুরগির উৎপাদন খরচও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকায় বাজারে আমিষের ব্যাপক চাহিদার জোগান দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

মুরগির উৎপাদন খরচ কমাতে চলতি বছর চার হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করে ছয়টি কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় টাইসন কর্তৃপক্ষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া কোয়ার্টারে মুরগির বাড়তি দামে ফের লাভের মুখ দেখছে উৎপাদকরা।

বাজারে মুরগির জোগান কমালেও বাড়তি দাম উৎপাদকদের মুনাফা বাড়িয়েছে।

দেশটির সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, ছয় সপ্তাহের ইনকিউবেটরের সময় শেষে ডিম থেকে মুরগির বাচ্চা তোলা হয়। উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ কমাতে অন্য বছরের তুলনায় হ্যাচারিতে ডিমের সংখ্যা ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।