শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডে ছিল গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর)। এদিন দেশটির ক্রেতারা অনলাইনে রেকর্ড ৯৮০ কোটি মার্কিন ডলারের কেনাকাটা করেছেন। ছুটির মৌসুম সামনে রেখে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিক্রেতারা। খবর: এপি।
অ্যাডোবি অ্যানালিটিকসের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলেকট্রনিকস, স্মার্টওয়াচ, টেলিভিশন এবং অডিও ইক্যুইপমেন্টের চাহিদা বেড়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
চলতি বছর ক্রেতাদের মধ্যে ‘বাই নাউ, পে-লেটার’ ব্যবস্থায় আগ্রহ বাড়ছে। থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের আগের সপ্তাহ থেকে এটি ব্যবহারের হার বেড়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ।
গত বছর ছুটির মৌসুমে বেচাকেনা ভালো হয়নি ব্যবসায়ীদের। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছিলেন ক্রেতারা। বিশাল মূল্যছাড় দিয়েও খুব বেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করতে পারেননি বিক্রেতারা। কিন্তু এ বছর আবারও সুবাতাস বইতে শুরু করেছে ভোক্তা বাজারে। মহামারির সংকট কেটে যাওয়া এবং সুদের হার ২০ বছরের মধ্যে
সর্বোচ্চ অবস্থায় থাকার কারণে এবার ছুটির কেনাকাটায় ধুম পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেলসফোর্স ইনকরপোরেটেডের হিসাব বলছে, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে জুতা, ক্রীড়া সামগ্রী, স্বাস্থ্য ও বিলাসী পণ্য বিক্রি ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বড় মূল্যছাড় দেখা গেছে পোশাক, বাড়ি ও বিলাসী পণ্যে।
কানাডাভিত্তিক ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস শপিফাই বলেছে, ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে তাদের প্ল্যাটফর্মে বিশ্বব্যাপী বিক্রি বেড়েছে ২২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে পোশাক, ব্যক্তিগত যত্ন ও জুয়েলারি পণ্যগুলো।
তবে ২০২১ সালেও ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে কেনাকাটার ধুম পড়ে। কভিড-১৯ মহামারির সময় ক্রেতারা অনলাইনে কেনাকাটা করেন। অনলাইন হিসেবে দেখা যায়, গ্রাহকরা তাদের পছন্দের সামগ্রীর অভাব হতে পারে এমন উদ্বেগ থেকে কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে তাদের কেনাকাটা শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাঙ্কসগিভিং উদ্যাপনের পরের দিনই হলো ঐতিহ্যগতভাবে ছুটির কেনাকাটার মৌসুমের সূচনা। সাধারণত আমেরিকানরা জনপ্রিয় সামগ্রীগুলোয় ছাড় পাওয়ার জন্য দোকান খোলার আগে বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন।