শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের সবচেয়ে কর্মক্ষম হওয়ার বয়সে তাদের কাজ করার হার গত মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, জুনে দেশটির সবচেয়ে কর্মক্ষম নারীদের ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। খবর: সিএনএন।
নিয়োগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান জিপ রিক্রুটারের প্রধান অর্থনীতিবিদ জুলিয়া পোলক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যার অনুপাতে কাজে নিয়োজিত, এমন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে উঠেছে। ২০০১ সালের পর যা ৮০ দশমিক ৯ শতাংশে উঠেছে। নারীদের ক্ষেত্রেও তা রেকর্ড ৭৫ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
জুলিয়া পোলকের মতে, কভিড-১৯ মহামারি না হলে কর্মসংস্থানের হার আরও বেশি হতে পারত। তবে মহামারির কারণে যেসব শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা এখন নতুন করে নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতেও কর্মসংস্থানের সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।
গত মাস নিয়ে টানা ৩ মাস ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী নারীদের কাজ করার হার রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। মহামারির সময় নারীদের কাজ করার হার যেভাবে কমে গিয়েছিল, সেই জায়গা থেকে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এখন তা প্রাক-মহামারি পর্যায়ের মতো।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশ নেয়ার হার ছিল ৭৭ শতাংশ। ডটকম বাবল বা তথ্যপ্রযুক্তির বাড়বাড়ন্তের সময় যে হার ছিল ৭৭ দশমিক ৩ শতাংশ। কভিডকালে অর্থাৎ ২০২০ সালের এপ্রিলে নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশ নেয়ার হার ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসে। তখন দুই কোটির বেশি মানুষ কাজ থেকে ছিটকে পড়েন।
মহামারির আগের কয়েক বছরে নারীদের শ্রমে যুক্ত হওয়ার হার পুরুষদের তুলনায় বাড়ছিল। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও সেবা-শুশ্রƒষার জগতে নারীদের প্রাধান্য দেখা যায়। শুধু তা-ই নয়, তখন এ খাতই ছিল সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল শিল্পগুলোর একটি। এছাড়া নির্মাণ, কৃষি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের মতো পুরুষের আধিপত্যমূলক খাতগুলোয় নারীদের অংশ বাড়ছিল।
নারী ও পুরুষের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্যের মাত্রা আগের তুলনায় কমে এসেছে। ১৯৮২ সালে পুরুষরা ১ ডলার আয় করলে নারীরা করতেন ৬৫ সেন্ট, সেখান থেকে ২০০২ সালেই তা ৮০ সেন্টে উন্নীত হয়। তবে এখনও তা ৮০ সেন্টের ঘরে ওঠানামা করছে।