শেয়ার বিজ ডেস্ক: সরকারি ব্যয় সচল রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার মাইক জনসনের প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত বুধবার হাউস ফ্লোরের ভোটাভুটিতে জনসনের সরকারি অর্থায়ন পরিকল্পনা ২০২-২২০ ব্যবধানে আটকে যায়। বিলটির পক্ষে তিন ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান ভোট দিলেও ১৪ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এর বিপক্ষে অবস্থান নেন। এই ঘটনায় হতাশা জানালেও শাটডাউনের চূড়ান্ত সময়সীমা ঘনিয়ে আসার আগেই অচলাবস্থা এড়াতে আশাবাদী জনসন। খবর: এবিসি নিউজ।
সাংবাদিকদের জনসন বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিরাপদ রাখতে এই বিলে অনাগরিকদের ভোটের সুযোগ বন্ধ করা হয়েছিল। জনসন দাবি করেন, বর্তমানে নাগরিকত্ব প্রমাণে কোনো স্টেটেই বাধ্যবাধকতা নেই, যা উদ্বেগজনক। স্পিকারের মতে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চায় দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ। তাই এটাকে দলীয় কোনো বিষয় হিসেবে দেখা উচিত নয়। এদিকে সিনেট মাইনোরিটি লিডার মিচ ম্যাককনেল বলেন, নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকতে শাটডাউন রাজনৈতিকভাবে চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক হবে। কারণ এর পুরো দায় এসে পড়বে রিপাবলিকানদের ঘাড়ে।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ আমেরিকার প্রশাসন সচল রাখতে এপ্রোপ্রিয়েশনস বিল নামে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের একটি প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। কেননা এই প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে এর মাঝে আরেকটি বিল পাস না হলে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আবার শাটডাউনের মুখে পড়তে পারে আমেরিকা।
স্পিকার মাইক জনসন এবার প্রচলিত ধারা ভেঙে ছয় মাসের সরকারি অর্থায়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, যাতে জুড়ে দিয়েছেন সেভ অ্যাক্ট নামে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু দিকনির্দেশনা। যেখানে আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে হলে নাগরিকত্ব প্রমাণের শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা বলছে, ফেডারেল নির্বাচনে অনাগরিকদের ভোট দেয়া এমনিতেই অবৈধ। আর রিপাবলিকানদের একটা অংশ মনে করে এমন বিলে সামরিক খাতে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় বুধবার হাউস ফ্লোরে উত্থাপিত হলেও মুখ থুবড়ে পড়ে জনসনের বিলটি।
এদিকে ওকলাহোমার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান কেভিন হার্ন এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, বিকল্প পরিকল্পনা হাতে রেখেই সরকারি ব্যয় মেটানোর পথে হাঁটছেন স্পিকার জনসন। তাই কোনো না কোনোভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান সচল রাখার পথ অবশ্যই খুলবে। এদিকে সাবেক ডেমোক্র্যাটিক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো জিওপি আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের হাতের পুতুল। কারণ সাবেক প্রেসিডেন্ট চাইছেন, তার সেভ অ্যাক্ট অন্তর্ভুক্ত করা না হলে সরকার অচল করে দিতে হবে। আর সেই নির্দেশ মেনেই চলছেন রিপাবলিকানরা।