শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অন্তত পাঁচটি পারমাণবিক শক্তিচালিত ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এ বিষয়ে শিগগির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। খবর: আল জাজিরা।
এ অত্যাধুনিক সাবমেরিনগুলো ২০৩০-এর দশকে সরবরাহ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এসব সাবমেরিন বিক্রির ঘোষণা এইউকেইউএস (অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) গোষ্ঠীর অগ্রগতি তুলে ধরবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
২০২১ সালে এইউকেইউএস প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব ঘোষণার পর থেকে এ তিন দেশের কর্মকর্তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন সরবরাহের জন্য কাজ করছেন।
এ বিষয়ে তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন, ক্যানবেরা ও লন্ডনের মধ্যে হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হিসেবে এসব সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা করছে অস্ট্রেলিয়া। তিন দেশের উদীয়মান প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে মূলত প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের সামরিক উচ্চাকাক্সক্ষা মোকাবিলার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সঙ্গত কারণে ওই প্রতিরক্ষা চুক্তি চীনের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
জানা গেছে, মার্কিন নৌবাহিনীর এ ভার্জিনিয়া শ্রেণি অত্যাধুনিক ও দ্রুত আক্রমণকারী সাবমেরিন। এগুলো বাহিনীটির পুরোনো হয়ে পড়া লস অ্যাঞ্জেলেস শ্রেণির সাবমেরিন বহর প্রতিস্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। সাবমেরিনগুলোয় টর্পেডো ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করা যায়, এগুলো বিশেষ অভিযানে নিযুক্ত বাহিনীগুলো বহন করতে এবং গোয়েন্দা ও নজরদারি মিশন পরিচালনা করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র বহরের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলোর চেয়ে আলাদা ভার্জিনিয়া শ্রেণি।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, তিন দেশ প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে নতুন শ্রেণির পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরি করতে অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ নকশায় মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব সাবমেরিন তৈরি করা হতে পারে।
এ অংশীদারিত্বের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে (সোমবার) ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ডিয়েগো শহরে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।