Print Date & Time : 28 June 2025 Saturday 4:45 pm

যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া মুক্তবাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনা চলতি সপ্তাহে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা আগামী ৫ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্য সংশোধন নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আলোচনা শুরু করে। গত আগস্টে সিউলে ও অক্টোবরে ওয়াশিংটনে আলোচার পর এটি হবে তৃতীয় সেশন বৈঠক। খবর রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যকে ‘কোরাস’ নামে ডাকে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর উভয় দেশের মধ্যে ১৪৪ দশমিক ছয় বিলিয়ন পণ্য বিনিময় হয়েছে। আর ওয়াশিংটন বলছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তাদের ঘাটতি বাণিজ্য দ্বিগুণে পৌঁছেছে। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৩ দশমিক দুই বিলিয়ন। আর ২০১৬ সালে এ ঘাটতি বাণিজ্য দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারে। ফলে একতরফা বাণিজ্য বন্ধ করতে চান ট্রাম্প প্রশাসন।

কোরাসের অধীনে তারা একটি যৌথ কমিটি করেছে, যেখানে উভয় দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যে চলমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করে নতুন করে বাণিজ্য চুক্তিতে ঐকমত্য হবে।

এর আগে গত এপ্রিলে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোরিয়ার বাণিজ্যকে ‘ভয়ংকর’ আখ্যায়িত করে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীকে এক চিঠি লেখেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লেথলাইজার। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন চায় ‘বাণিজ্যে ভারসাম্য সম্পর্ক।’ এর জবাবে সিউল বলছে ‘উভয়ের পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে আগের চুক্তি পরিবর্তিত হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ হাজারের বেশি সৈন্য ও ঘাঁটি রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া অঞ্চলে এ সমারিক ঘাঁটি স্থাপন করে। ট্রাম্প তাদের মিত্রদেশ জাপানের সঙ্গেও মুক্ত বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে।

যদিও নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্প মুক্ত বাণিজ্যের বিপরীতে অবস্থান করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমজীবীদের ভোট পাওয়ার আশায় মার্কিনিদের চাকরি হারানোর জন্য অ-আমেরিকানদের দায়ী করেন ট্রাম্প। এর আগে ওবামা প্রশাসন কর্তৃক ১২ সদস্য রাষ্ট্রের একটি বৃহৎ বাণিজ্য চুক্তি ‘ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ’ (টিপিপি) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৪০ শতাংশ রয়েছে টিপিপির দখলে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর আঞ্চলিক বাণিজ্য সংস্থা নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (নাফটা) পুনর্মূল্যায়নের পর্যালোচনা চলছে।

উল্লেখ্য, নাফটার ফলে এ অঞ্চলের শিল্প, ম্যানুফ্যাকচারিং, কৃষি ও ব্যবসাকে বাড়িয়ে নিচ্ছে।