শেয়ার বিজ ডেস্ক: যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এ মহড়া শুরু হয়েছে গতকাল, চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জায়ে ইন প্রশাসনের সর্বশেষ মহড়া এটি। খবর: নিক্কেই এশিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, উপদ্বীপে মিত্র দেশ দুইটি কম্পিউটার সিমুলেশনের ভিত্তিতে মহড়া পরিচালনা করবে। কোনো ধরনের মাঠ প্রশিক্ষণ ছাড়া যা চলবে। শেষের চার দিন সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেশন পরিচালনা করা হবে। দেশটির জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেন, এ মহড়া দুই দেশের সেনাদের যেকোনো অপারেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তাদের সক্ষমতা বাড়াবে। অর্থাৎ যৌথ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও সুসংহত হবে।
চলতি বছর শুরু থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে উত্তর কোরিয়া। এ কারণে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ার আয়োজন করায় দক্ষিণ কোরিয়ার সমালোচনা করেছে দেশটি। পিয়ংইয়ংয়ের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রতিবাদে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার আসে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিনিধিদল। যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশেষ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাং কিম ও তার সহকারী জুং পাক। তাই বসন্তকালীন এ মহড়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এমনকি প্রতিবেশী দেশটিকে হুমকিও দিয়েছে।
আগামী ১০ মে দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োলের অভিষেক অনুষ্ঠান হবে। এতে অংশ নিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলছে উত্তর কোরিয়া বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। ইয়ংনাম ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর ফার ইস্টার্ন স্টাডিজের অধ্যাপক লিম
ইউল-ছুল বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ইয়ুনের জন্য সতর্কবার্তা। নতুন প্রেসিডেন্টের প্রশাসন, যৌথ সামরিক মহড়া ও বাইডেনের সফর ঘিরে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে কিমের প্রশাসন।
সবশেষ গত শনিবার উত্তর কোরিয়া নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে। কিম জং উনের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা চালানো হয়।