শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকায় এক খুনি রয়ে গেছে। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বারবার চেষ্টা করছি। তারা সেই খুনিকে লালন-পালন করছে। তাদের কারবারই এ রকম। গতকাল বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। খবর: বাংলা ট্রিবিউন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি এবং জনগণের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। অন্তত তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলেই এই হত্যার বিচার করতে পেরেছি। কিন্তু এখনও কিছু খুনি রয়ে গেছে। আমেরিকায় এক খুনি রয়ে গেছে, তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বারবার চেষ্টা করছি। তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আমেরিকা সেই খুনিকে লালন-পালন করছে। অবশ্য আমেরিকার কারবারই এরকম।’
বঙ্গবন্ধুর পালিয়ে থাকা খুনিদের ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খুনিদের লালন-পালন করা একজন কানাডায়, একজন আছে আমেরিকায়, আর দুইজন পাকিস্তানে। আরেকজনের খবর পাওয়া যাচ্ছে না, কখনও ইন্ডিয়াতে, কখনও জার্মানিতে বিভিন্ন জায়গায় মোসলেহউদ্দিন। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে যে, পৃথিবীর যেখানেই থাক, যেভাবেই হোক, ধরে এনে এদের সাজা অবশ্যই আমরা নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ, সেটাই আমি চাই।’
পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখানে যেরকম একজন ড্রাগ ডিলার, বারবার ড্রাগসহ ধরতে গেছে পুলিশ, তার (পুলিশ) ওপর হামলা করেছে, র্যাব ধরতে গেছে হামলা করেছে। ১৪টা মামলার আসামি ড্রাগসহ ধরা পড়ে সে। পুলিশের ওপর তার গ্রুপ গুলি করে, র্যাবের ওপর গুলি করে। তারপর সেও গুলি খায়, মারা যায়। তার জন্য আমাদের দেশের কিছু লোক বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে বেড়ায়। অথচ এই ড্রাগ ডিলারদের খোঁজ আনতে গিয়ে, ধরতে গিয়ে আমাদেরই এয়ার ফোর্সের একজন অফিসারকে ড্রাগ ডিলাররা হরণ করে নিয়ে যায়। অত্যন্ত নির্মমভাবেই তাকে মারে, হত্যা করে। এইমাত্র কিছুদিন আগের ঘটনা।’
বাংলাদেশের কয়েকজনের ওপর আমেরিকার ‘স্যাংশন’ দেয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে এদের কোনো উদ্বেগ নেই। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ নেই। যারা ওই আমাদের ওপর স্যাংশন দেয় আমেরিকা, তাদেরও কোনো উদ্বেগ নাই। কারও কোনো উদ্যোগ নেই। কেমন একটা অদ্ভুত বিশ্ব পরিস্থিতি, সেটাই আমার কাছে অবাক লাগে।’