যুক্তি ও তর্কের মাধ্যমে অনেক কিছু শেখার আছে। যুক্তি-তর্কবিতর্ক মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। বিতর্কের দ্বন্দ্বে বিকশিত হয় সুন্দর। প্রতিযোগিতার মাধ্যম নয়, বিতর্ক বরং একটি শিল্প। এ শিল্পকে যারা প্রাণে ধারণ করতে পারবে, তারা সঠিক যৌক্তিকতার মাধ্যমে চিন্তা-ভাবনাগুলো সমাজের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারবে। তাই বিতর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে ও নিজের ভাবনাকে
জাগ্রত করতে সিইউডিএস ৯ ও ১০ নভেম্বর একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত ‘বিতর্ক উৎসব ২০১৮’ অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় আইন অনুষদে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, আইন অনুষদের ডিন এবিএম আবু নোমানসহ অনেকে।
উপাচার্য বলেন, বিতার্কিকরা বিতর্ক দিয়ে, যুক্তি দিয়ে অন্ধকারকে নিধন করে আলোর প্রোজ্জ্বল ঘটাবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এ প্রত্যাশা পূরণে তোমরা সক্ষম। গত ২২ বছরে সিইউডিএসের যে অর্জন রয়েছে, আমি মনে করি এ অর্জনের পেছনে অনেকের বিসর্জন রয়েছে।
দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানটিতে চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি দল অংশ নেয়। স্কুল ও কলেজের সাতটি দল ও ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ছিল। এর মধ্যে ছয়টি প্রিলিমিনারি রাউন্ড, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় বিতর্কের বিষয়বস্তুগুলো ছিল নৈতিকতা, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, কর্মব্যবস্থা, শিল্প, কুসংস্কার প্রভৃতি।
স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের বিতার্কিক দল। এ দলের সদস্য ছিলেন তৈফিকা জারিন ও আবিদ বিন আহমেদ। সেরা বিতার্কিক হন প্রেসিডেন্সি স্কুলের ইসমাম-উল-হক।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজয়ী হয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এ দলের সদস্য ছিলেন মমতাজ রহমান মেঘা ও ইসরাত করিম। সেরা বিতার্কিক হন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আকিব ফারহান হোসাইন।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ওয়েল গ্রুপ। গণমাধ্যম সহযোগী ছিল দৈনিক শেয়ার বিজ ও যমুনা টিভি।
সাইফ ইউ আলম