যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পথে ইসরায়েল-হামাস

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় এক মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পথে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও হামাস। তবে সেখানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে উভয়পক্ষের মতপার্থক্য এখনও দূর হয়নি। খবর: আল জাজিরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের শুরু থেকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর। তিন দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হাতে থাকা ১৩০ জনের বেশি জিম্মি ও ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, গাজায় সহিংসতা স্থগিত করা এবং উপত্যকায় ত্রাণের সরবরাহ আরও বাড়াতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও হামাসÑউভয়ই এক মাসের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের ১ ডিসেম্বর গাজায় মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যাবতীয় কূটনৈতিক তৎপরতা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল। পরে কাতার ও মিসরের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠায় হামাস। প্রস্তাবে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা নিজেদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে, তার বিনিময়ে ইসরায়েলকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং উপত্যকায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ করতে দেয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দিতে হবে।

হামাসের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি ইসরায়েল। তাদের অসম্মতি পাওয়ার পর হামাসও এ ইস্যুতে অগ্রসর হয়নি। পরে কাতার, মিসর ও ওয়াশিংটনের চাপে এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস। তবে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চয়তা চাওয়া হয়Ñএই বিরতির পর গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।

গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবিক বিরতির সাত দিনে মোট ১০৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ১৩২ জন এখনও তাদের হাতে আটক।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০