শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে বেকায়দায় পড়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে ধস নেমেছে রাশিয়ার গাড়ি বিক্রিতেও। এক জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছর মার্চে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৬৩ শতাংশ কম গাড়ি বিক্রি হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার অভাবে গাড়ি তৈরির সরঞ্জামও সরবরাহ করতে পারছে না দেশটি। খবর: ডেইলি সাবাহ।
ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে রাশিয়ার ওপর নানা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে সেমিকন্ডাকটরসহ গাড়ি তৈরির যন্ত্রাংশ বিক্রি বন্ধ করা। এ কারণে দেশটির গাড়ি ও হালকা বাণিজ্যিক যানবাহন তৈরিতে ব্যাপক ধস নামে। দেশটির মুদ্রা রুবলের অবমূল্যায়ন হওয়ায় গাড়ি আমদানি এড়িয়ে চলেন ব্যবসায়ীরা। গত মাসে মাত্র ৫৫ হাজার ১২৯টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে বলে জানায় অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোপিয়ান বিজনেসেস (এইবি)। এ হিসেবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় গাড়ি বিক্রি কমে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ।
রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সাশ্রয়ী ব্র্যান্ড লাডার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাভটোভ্যাজের বিক্রি কমে ৬৪ শতাংশ। অ্যাভটোভ্যাজের বেশির ভাগ শেয়ার নিশান-রেনাল্ট গ্রুপের। ইউক্রেন ইস্যুতে অ্যাভটোভ্যাজের মালিকানা ছেড়ে দিতে গ্রুপটিকে চাপ দিচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। এই প্রতিষ্ঠানের অংশীদার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা কনগ্লোমেরাট রসটেক, যার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সের্গেই চেমেজোভ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নিশান-রেনাল্ট গ্রুপের অধীন রাশিয়ায় কয়েক হাজার কর্মী রয়েছেন এবং অ্যাভটোভ্যাজে তাদের বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে।
পশ্চিমা অনেক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গাড়ি অ্যাসেম্বল করছে গত দুই দশক ধরে। এতে দেশটির অর্থনীতির প্রসার হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে রেনাল্ট রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া অডি, হোন্ডা, জাগুয়ার ও পর্শে রাশিয়ার গাড়ি বিক্রি বন্ধ রেখেছে। দেশটির কারখানায় গাড়ি উৎপাদন স্থগিত করেছে বিএমডব্লিউ, ফোর্ড, হুন্দাই, মার্সিডিজ, ভোকসওয়াগেন ও ভলভো।