নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক। গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে এরই মধ্যে পথে বসিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিÑএমন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শুরু থেকে সংযুক্ত করা হয়েছিল নামিদামি তারকাদের।
অনেকের অভিযোগ জনপ্রিয় এসব তারকাদের দেয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা। এবার তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন সাদ স্যাম রহমান নামে এক ভুক্তভোগী। ইভ্যালি প্রতারণার মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে জনপ্রিয় তারকা তাহসান, অভিনেত্রী মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে সাদ স্যাম রহমান অভিযোগ করেন, ইভ্যালি থেকে তিন লাখ ১৮ হাজার টাকায় মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে পণ্য ডেলিভারি দেয়া হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯ জনকে। ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা ছাড়াও মামলায় পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে সংগীতশিল্পী তাহসানকে। আট ও ৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াদ রশিদ মিথিলাকে।
রমনা ডিসি জানিয়েছেন, গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
জানা যায়, আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শবনম ফারিয়া।
তবে ইভ্যালির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে গত জুনে বড় অঙ্কের বেতনে ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেয়া শবনম ফারিয়ার বেতনের অধিকাংশ বকেয়া। অন্যদিকে ১০ মার্চ ইভ্যালির ‘ফেস অব ইভ্যালি’ (শুভেচ্ছাদূত) ঘোষণা করা হয় তাহসানকে। তিনি শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পরের মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও গ্রাহকের পণ্য সময়মতো পৌঁছে না দিতে পারায় তোপের মুখে পড়ে। সবদিক বিবেচনা করে মে মাসের মাঝামাঝি সময় ইভ্যালি থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান তাহসান। একই পথে হাঁটেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলাও।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় একজন ভুক্তভোগীর মামলায় কারাগারে আটক ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।