ক্রীড়া প্রতিবেদক : হাঁটি হাঁটি পা পা করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর পার করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। এ সময়ের মধ্যে ক্যারিয়ারের ভালোমন্দ দুটো দিকই দেখে ফেলেছেন তিনি। সবকিছু পেছনে ফেলে ২০১৫ সাল থেকে ২২ গজে দারুণ সময় কাটছে তার। এরই মধ্যে দেশের হয়ে ক্রিকেটের সব সংস্করণে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এ বাঁহাতি ওপেনার। দুবছরের মধ্যে কীভাবে নিজেকে বদলালেন তামিম? আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্পটা নিজেই বলেছেন টাইগার এ ব্যাটিং জিনিয়াস।
গত বিশ্বকাপের আগে ১৪১ ওয়ানডে খেলে ৩৯৭১ রান করেছিলেন তামিম, যেখানে ৪টি সেঞ্চুরি ও ২৮টি হাফ সেঞ্চুরি ছিল তার। বিশ্বকাপের পর এ বাঁহাতি ওপেনার খেলেছেন ৩৫টি ম্যাচ। করেছেন পাঁচটি সেঞ্চুরিতে ১৬০৭ রান। গত পরশু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ব্যাটিংয়ে বদলে যাওয়ার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। শুরুতে ধীরে ধীরে খেলেন তিনি। তারপর সময় যত গড়িয়েছে, তার ব্যাটও প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর হয়েছে চড়াও। এরই ধারাবাহিকতায় সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি।
কীভাবে বদলে গেলেন তামিম? এমন প্রশ্নের উত্তরে টাইগার এ ওপেনার বলেন, ‘গত দুই বছরে আমি ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছি। আমি বড় স্কোর খেলার দিকে মনোযোগ দিয়েছি, যেটা দলের জন্য কাজে লাগে। টেকনিক নয়, ব্যাপারটা বেশি ছিল মানসিক ক্ষেত্রে। নিজের খেলা নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলি। ক্রিকেটার-কোচ, সুযোগ পেলে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গেও। শেখার কোনো শেষ নেই। হাশিম আমলার মতো ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কথা বললে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আমি শচীনের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি যেভাবে কথা বলেন, তাতে এমন কিছু আপনি পাবেন যা দিয়ে আপনি আরও ভালো ক্রিকেটার হতে পারবেন।’
ব্যাটিং পারফর্মে বড় ভূমিকা রয়েছে তামিমের ফিটনেস। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ফিটনেস খুবই বড় ব্যাপার। আমি এদিকে অনেক মনোযোগ দিয়েছি। গত দুই বছরে আমি ১০ কেজি ওজন কমিয়েছি। এটা নিশ্চিতভাবেই অনেক সাহায্য করেছে।’ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করলেও দলকে জেতাতে পারেননি তামিম। সে আক্ষেপটা রয়েছে তার। তারপরও ভেঙে পড়ছেন না তিনি। সামনে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে তাকিয়ে তিনি। আশা করছেন ভালো কিছু করবে তার দল। এখন সে প্রত্যশায় টাইগার ভক্তরাও।