ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাকিব আল হাসান নেই। তাই স্পিন ডিপার্টমেন্টের মূল দায়িত্বটা পড়েছে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের কাঁধে। গত পরশু সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করেছেন তিনি। স্পিন ভেলকিতে দুটি শিকারও ধরেন। বলতে গেলে তার নৈপুণ্যে জয়ের রসদটা পেয়ে যায় টিম টাইগার্স।
বল হাতে শুরুতে একটু এলোমেলো ছিলেন আমিনুল। তবে তার ভাবনা ছিল ঠিক। যে কারণে বোলিং করে গেছেন পরিকল্পনা অনুযায়ী। তাতে মেলে সাফল্য। সব মিলিয়ে ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি।
সপ্তম ওভারে বল হাতে পেয়েছিলেন আমিনুল। তৃতীয় বলেই টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে তিনি ফিরিয়ে দেন লোকেশ রাহুলকে। ওই ওভারে ১৯ বছর বয়সী স্পিনারকে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কায় আছড়ে ফেলেন শ্রেয়াস। আমিনুলের পরের ওভারে আবার তিনি ছক্কা মারেন মাথার ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত এ দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসেন এ লেগ স্পিনারই। ফুল লেংথ বলেই প্রলুব্ধ করে নেন শ্রেয়াসের উইকেট। জানালেন, বেশি কিছু করার চেষ্টা না করে স্রেফ জায়গামতো বোলিং করে গেছেন তিনি, ‘ব্যাটসম্যান ভেবে বোলিং করছিলাম। কোন জায়গায় খেলতে চাচ্ছে, এর বিপরীতে বোলিং করা, ভালো জায়গায় বোলিং করাÑএটাই পরিকল্পনা ছিল। অনেক কিছুর চেষ্টা করিনি, ঠিক লাইন-লেংথে বোলিং করে গেছি।’
দলীয় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জায়গা মতো বোলিং করার পরামর্শ দিয়েছিলেন আমিনুলকে। এ কৌশলেই গত পরশু সফল হয়েছেন তিনি, ‘রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) আমাকে কেবল জায়গায় বোলিং করতে বলেছেন। আমিও বুঝেছিলাম, ঠিক জায়গায় বোলিং করলে কাজ হবে। সেভাবেই পেয়েছি শ্রেয়াসের উইকেট।’
ভারতের বিপক্ষে সব সময় খেলা আনন্দের। তবে যখন যেখানেই খেলে থাকেন বিপ্লব, চেষ্টা করেন নিজের সেরাটা দেওয়ার, ‘ভারত খুবই ভালো দল। ওদের বিপক্ষে ভালো করাটা সব সময়ই আনন্দের। তবে আমি যখন যে জায়গাতেই খেলি, চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। যদি আরও সুযোগ পাই, আরও ভালো খেলার চেষ্টা করব। ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’