শোবিজ ডেস্ক: নতুন নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত দেশে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের চলচ্চিত্র পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর গত রোববার বিকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ও উন্নয়নের স্বার্থে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে যৌথ প্রযোজনা নিয়ে আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে থাকা দুই শিবিরেই।
এর মধ্যে অন্যতম আন্দোলনকারী ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমরা ঔদ্ধত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই না। যৌথ প্রযোজনায় আমরা চেয়েছি দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হবে। আশা করি নতুন কমিটির মাধ্যমে পূর্ণ নীতিমালায় তা উঠে আসবে। নতুন কমিটির আহ্বায়ক হারুনুর রশীদের ওপর আমাদের আস্থা আছে। তিনি একসময় বিএফডিসির মহাপরিচালক ছিলেন। ভালো একজন শিল্পীও। আর ইতোমধ্যে যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি বিলুপ্ত। নতুন কমিটি ভালো কিছু করবে আশা করি।’
প্রায় একই ধরনের অনুভূতি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি একবাক্যে বলেন, ‘এটা আমাদের আন্দোলন ও সব চলচ্চিত্রপ্রেমীর আন্দোলনের ফসল। আমরা সাধুবাদ জানাই।’
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে কোনো পক্ষ নিয়েছে দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া তা জানতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুল আজিজকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তবে এর উত্তর দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলিমুল্লাহ খোকন। তিনি বলেন, ‘সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে শুভকামনা জানাই। আমাদের কিছু ছবির কাজ চলছে। সেগুলো শেষ হবে। তবে নীতিমালা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো ছবির কাজ শুরু হবে না।’
তথ্য সচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূলত নতুন এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এতে চলচ্চিত্র পরিবারের প্রতিনিধিদের পক্ষে অভিনেতা ফারুক, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর পরই বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এসএম হারুন-অর-রশীদকে আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়। কমিটি এক মাসের মধ্যে যৌথ প্রযোজনার নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করবে।