Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 5:26 am

যৌন নিপীড়ক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে একই বিভাগের অধ্যাপক ড.মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আবারও আন্দোলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বসেছে বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার  বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের   সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এই আন্দোলন ও প্রতিবাবাদ সমাবেশ করেন। আন্দোলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায়।
সমাবেশে ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, আমাদের দাবি হলো স্থায়ী বহিষ্কার করা। আমরা আমাদের বিভাগে এমন শিক্ষককে পুনরায় দেখতে চায় না। উনার বিরুদ্ধে আগ থেকে এমন অপকর্মের অভিযোগ আছে। উনাকে কঠোর শাস্তির আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নজির স্থাপন করতে হবে যাতে পুনরায় এমন জঘন্য ঘটনা না ঘটে।
২০১৮-১৯ সেশন শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। আমাদের দাবি মত স্থায়ী বহিষ্কার না হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকবো। আমরা চাই এমন শিক্ষক যেন ভার্সিটির বারান্দায় আর পা রাখতে না পারে।
২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন, এমন শিক্ষক থেকে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারবো যারা নিজেদের সন্তানের মত শিক্ষার্থীদের সাথে এমন নিন্দনীয় কাজ করে। আমরা প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি প্রশাসন যেন তাকে স্থানী বহিষ্কার করে। যতক্ষণ প্রশাসন থেকে স্থানীয় বহিষ্কার না আসে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা এই ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি। আমরা কোন অবস্থাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুন্ন হতে দিবো না। আমাদের কোন ছাত্রী অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়লে আমরা তাদের পাশে আছি। যা করার আমরা করবো। আমরা সিন্ডিকেট সদস্যরা বৈঠক করে অতিদ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার(৩১জানুয়ারি) দুপুরে উপাচার্য শিরীণ আখতারের কাছে  এক শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের এক অধ্যাপক সম্পর্কে লিখিতভাবে যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
তবে অভিযুক্ত অধ্যাপক অভিযোগটি অস্বীকার করে নিজ পাপের ফল বলে দাবি করেছেন। এছাড়াও ৩১ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এ ধরনের কাজের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই বলে তিনি দাবি করেন।