Print Date & Time : 2 July 2025 Wednesday 1:12 am

যৌন হয়রানি ঠেকাতে আট চলচ্চিত্র

শোবিজ ডেস্ক: একসঙ্গে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ জানানোর নজির বিশ্বে নেই। ‘আই স্ট্যান্ড ফর ওমেন’ কার্যক্রম সেদিক থেকে অনন্য। ‘সিনেমা হোক অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিপ্লবের হাতিয়ার’ সেøাগান নিয়ে ক্যামেরা আর গল্পে নিজের পয়সা খরচ করে একটি করে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা তৈরি করেছেন ঢাকার আট নির্মাতা। এ উদ্যোগের নাম ‘#আই স্ট্যান্ড ফর ওম্যান’। খবর: বাংলা ট্রিবিউন।
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ঠেকাতে গত বছর হলিউড তারকারা শুরু করেন ‘#মিটু’ ও ‘টাইমস আপ’ কর্মসূচি। তবে সেগুলো সীমাবদ্ধ ছিল শুধুই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা বিভিন্ন উৎসবে। বাংলাদেশে ‘#আই স্ট্যান্ড ফর ওম্যান’ তেমনই একটি কার্যক্রম। তবে তার অংশ হিসেবে নির্মিত হলো আটটি ছোট দৈর্ঘ্যরে ছবি। সব ছবিতেই উঠে এসেছে নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা। এছাড়া আছে একটি পিএসএ। এ উদ্যোগের ছবিগুলো হলোÑআফজাল হোসেন মুন্নার ‘দ্য ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য গার্ল’ (নুসরাত ইমরোজ তিশা), জসীম আহমেদের ‘চকোলেট’ (গোলাম ফরিদা ছন্দা, শতাব্দী ওয়াদুদ, আজিজুল হাকিম), সাকি ফারজানার ‘দ্য পার্ক, দ্য বেঞ্চ অ্যান্ড দ্য গার্ল’, প্রতীক সরকারের ‘মুখোশ’ (ইন্তেখাব দিনার), আশিকুর রহমানের ‘যে গল্পের কোনো নাম নেই (মৌসুমী হামিদ, শতাব্দী ওয়াদুদ), রাজু আহসানের ‘লিপস্টিক’ (জয়রাজ, তারিন রহমান) এবং আসিফ খানের ‘দ্য মাদার’।
আর খিজির হায়াত খানের পিএসএ’র নাম ‘সে নো টু রেপ’।
মাস কয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্মাতা আফজাল হোসেন মুন্নার দেওয়া একটি পোস্ট থেকে শুরু হয় ‘#আই স্ট্যান্ড ফর ওমেন’ কার্যক্রম। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য নির্মাতাদের মধ্যে। তারা সবাই নারীর ওপর যৌননিপীড়ন বন্ধের বিষয়ে একটি করে স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি বানানো শুরু করেন। বেশিরভাগ ছবির কাজই শেষ। টিজারে মৌসুমী হামিদ এ সম্পর্কে মুন্না বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এ সিনেমাগুলো দেখার পর যে কেউ মেয়েদের সঙ্গে বাজে আচরণ করতে ভয় পাবে। একইসঙ্গে মেয়েদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে আমরা সার্থক হব।’