রংপুরের বাঁশপণ্য

নূর আলম : এক সময় রংপুরে বাঁশ ও বেতের তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা ছিল। কয়েক দশক আগেও রংপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হতো এ অঞ্চলের কারিগরদের তৈরি বাঁশ ও বেতের পণ্য। বর্তমানে তা ফিকে হয়ে এসেছে। তাই এ কাজের সঙ্গে যুক্ত অনেক কারিগর অন্য পেশামুখী হচ্ছেন। তবু অভাব-অনটন সঙ্গী করে কয়েকটি পরিবার আজও পৈতৃক পেশাটি ধরে রেখেছেন।

রংপুর নগরীর সাতমাথা ও লালবাগ এলাকার কলোনির কয়েকটি পরিবার এ কাজে যুক্ত আছেন। এ কাজে পুরুষ কারিগরকে সহায়তা করছেন নারীরা। বর্তমানে বেত খুব একটা সহজলভ্য না হওয়ায় বাঁশের প্রতি ঝুঁকছেন তারা।

দিন দিন জিনিসপত্রের মূল্য বাড়ছে। এক সময় যে বাঁশ ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই বাঁশ বর্তমান বাজারে কিনতে হচ্ছে দুইশ থেকে আড়াইশ টাকায়। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না বাঁশের তৈরি পণ্যের মূল্য। তবু বাঁশ শিশুদের দোলনা, র‌্যাক, পাখা, ঝাড়–, টোপা, ডালি, কুলা, ধান রাখার ডুলি, মাছ ধরার পলি, খলিশানসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য তৈরি করে চলেছেন রংপুরের কারিগররা।

একটি বাঁশ দিয়ে ১০ থেকে ১২টি ডালি তৈরি করেন কারিগররা। সব খরচ বাদ দিয়ে পণ্যপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হয়। পুরুষ কারিগররা বিভিন্ন হাট ও গ্রামে বিক্রি করেন এসব পণ্য।

কয়েক কারিগর বলেন, ‘আমরা অন্য কাজে দক্ষ নই। তাই ধার-দেনা করে বাঁশ কিনে পণ্য তৈরি করি। বিক্রি থেকে যা আসে তাই দিয়ে সংসার চালাই।’

 

রংপুর

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০