প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নিলফামারী): রংপুরের সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক অলিউল হাসান জুয়েল (২৬) ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহসিন আলী সাগরসহ (৩৮) সৈয়দপুরেরই ৩ জন নিহত হয়েছেন। তবে শেষের জনের এখনও সঠিক ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ওই দুর্ঘটনায় সৈয়দপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান শুভ শেখের চাচা শ্রমিক নেতা মো. শামীম (৪২) গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার শলেয়াশাহ খারুভাজ সেতুর কাছে। সেখানে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯ জন নিহত এবং প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছেন। নিহত ৭ জনের পরিচয় মিললেও এখনও ২ জন রয়েছেন অজ্ঞাত হিসেবে।
দুর্ঘটনায় নিহত উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও কামারপুকুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অলিউল হাসান জুয়েল। সে ওই ইউনিয়নের আদানীর মোড় এলাকার মৃত মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে। আর মহসিন হোসেন সাগর সৈয়দপুর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামসংলগ্ন কুন্দল কলেজপাড়ার সাবেক ফুটবলার রেফারী মকবুল হোসেনের ছেলে। নিহত দুইজনই সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে বিভিন্ন পরিবহনের কমিশন এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। নিহত অপরজন সৈয়দপুর শহরের ক্যান্টবাজার এলাকার মাহবুব আলম (৪৮) বলা হলেও তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ বলছে এখন সঠিক পরিচয় মেলেনি তার।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সূত্র জানায়, অলিউল হাসান জুয়েল ও মহসিন হোসেন সাগর পরিবহন সংশ্লিষ্ট কাজ শেষে রংপুরের মডার্ন মোড় থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী জোয়ানা পরিবহনে সৈয়দপুরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শলেয়াশাহ খারুবাজ সেতুর সামনে ঢাকাগামী ইসলাম এন্টারপ্রাইজ নামে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাগরসহ ৫ জন নিহত হয়। আর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোর সাড়ে ৫টায় জুয়েল ও সকাল ১০টায় মারা যায় মাহবুব আলম।
সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার হাসান টুটুল বলেন, সংগঠনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ জুয়েল ও সাগর ভাই অত্যন্ত সাদা মনের মিশুক মানুষ ছিলেন। তাদের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।
সোমবার বাদ আসর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অলিউল হাসান জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে স্থানীয় হাতিখানা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ জোহর সৈয়দপুর সরকারি কলেজ মাঠে মহসিন হোসেন সাগরের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার অকাল মৃতুতে শোক জানিয়েছেন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম আপেল ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকারসহ সৈয়দপুর আওয়ামী লীগ নেতারা।