শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, রংপুর: রংপুরে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে শিশুমৃত্যুর খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন একেএম সুমন। গত বুধবার রাত ৯টায় নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসংলগ্ন জনসেবা ক্লিনিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সুমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আহত সুমন ও পুলিশ জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টিগোপালপুর গ্রামের আবদুল বাতেন মিয়ার ছেলে বাবুর (৪) হার্নিয়া অপারেশন করার জন্য গত সোমবার সকালে রংপুরের জনসেবা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় বাবুর অপারেশন করেন চিকিৎসক মোছাদ্দেক হোসেন। এর পর থেকে বাতেনকে তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এদিকে তিন দিনেও ছেলেকে দেখতে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাতেন মিয়া। বিষয়টি সংবাদকর্মীদের নজরে এলে গত বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য ক্লিনিকে যান কয়েকজন সাংবাদিক। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ক্লিনিক মালিক ডা. মোছাদ্দেক স্থানীয় ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজুকে বিষয়টি অবগত করেন। খবর পেয়ে মিজু তার লোকজন নিয়ে ক্লিনিকে যান।
এ সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীরা বাবুর অবস্থান ও তার মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়ে ক্লিনিকের মালিক ডা. মোছাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেন মিজু ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন। একপর্যায়ে ক্লিনিকের সামনে অবস্থানরত এশিয়ান টিভির ক্যামেরাপার্সনসহ সংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় মিজুর লোকজন। এতে ক্যামেরাপার্সন সুমন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনা জানাজানি হলে অন্য গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ক্লিনিকের কর্মচারীরা তাদের ওপর মারমুখী হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বাতেন মিয়া জানান, তিন দিন আগে অপারেশন হয়েছে, কিন্তু ছেলে কোথায় আছে এ বিষয়ে তাকে কিছু জানানো হচ্ছে না। এ ঘটনায় এশিয়ান টিভির রংপুর প্রতিনিধি বাদশা ওসমানী বাদী হয়ে ক্লিনিক মালিক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ও ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজুসহ আটজনের নামে সদর থানায় মামলা করেছেন।
সদর থানার ওসি বাবুল মিঞা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Print Date & Time : 1 July 2025 Tuesday 8:49 pm
রংপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলা
সারা বাংলা ♦ প্রকাশ: