Print Date & Time : 28 June 2025 Saturday 5:38 pm

রংপুর ডেইরির ঋণমান ‘এ প্লাস’ ও ‘এসটি-৩’

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ জুন, ২০২০ পর্যন্ত ৯ মাসের বা তিন প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

এদিকে, সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৩টি শেয়ার ৩৩৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৭৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৬ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৩৯ পয়সা ও ১৫ টাকা ৫৪ পয়সা।

২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘বি’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট সাত কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৮২৭ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস পাঁচ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ১৪ টাকা ৫৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ জুনে ছিল ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৯ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০১৯-মার্চ, ২০২০) ইপিএস হয়েছে ৩৮ পয়সা, আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ৩৯ পয়সা।