Print Date & Time : 30 June 2025 Monday 11:26 pm

রংপুর ডেইরি ও অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড এবং অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিগুলো এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। তবে সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৫ টাকা ৩০ পয়সা, যা গত ১১ জানুয়ারি লেনদেন হয় ১৭ টাকা ৮০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

এদিকে গতকালও ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর সাত দশমিক ৮৭ শতাংশ বা এক টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সায়। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির মোট ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২৩২টি শেয়ার মোট ৫২৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর তিন কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এই কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। যার ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ৬ জানুয়ারি কোম্পানির শেয়ারদর ছিল আট টাকা ৭০ পয়সা, যা ১১ জানুয়ারি হয় ১১ টাকায়। অর্থাৎ মাত্র তিন কার্যদিবসে লেনদেন বেড়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

এদিকে গতকালও ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ শতাংশ বা এক টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির মোট পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৮টি শেয়ার মোট ২৩১ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে কোম্পানিটির। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় এক টাকা ২২ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১৫ পয়সা।

আর ২০১৯ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ছয় টাকা ৯ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা পাঁচ পয়সা। কোম্পানিটির মোট পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।