Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 12:02 am

রংপুর ফাউন্ড্রি ও এনসিসি ব্যাংকের ঋণমান প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড এবং ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৬৮ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১১ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট এক কোটি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার।

ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১০১ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৭ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার।