ক্রীড়া ডেস্ক
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগের অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিকের মাইলফলকে পৌঁছেছেন রদ্রিগো। শুধু তা-ই নয় ব্রাজিলিয়ান এ তরুণ সতীর্থদের দিয়েও করিয়েছেন দুটি গোল। এদিকে করিম বেনজেমা দুবার দেখা পান জালের। সব মিলিয়ে গত পরশু গ্যালাতাসারাইকে পেয়ে গোল উৎসবে মাতে জিনেদিন জিদান শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি তারা জিতে নেয় ৬-০ গোলে।
ঘরের মাঠে গত পরশু শুরু থেকেই দাপট দেখায় রিয়াল মাদ্রিদ। সে ধারাবাহিকতায় স্বাগতিকরা প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রতিপক্ষ শিবিরে বল জড়ায় তিনবার। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে রদ্রিগোর গোলেই রিয়ালের গোল উৎসবের শুরু হয়। দ্বিতীয় গোল পেতেও খুব বেশি অপেক্ষা করেননি ১৮ বছরের এ তরুণ। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান তিনি।
এদিকে ম্যাচের ১৪তম মিনিটে রামোসের পেনাল্টি থেকে রিয়াল ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। ডি-বক্সে টনি ক্রুস ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ডি বক্সের ভেতর রদ্রিগোর দুর্দান্ত পাস থেকে বল জালে জড়ান বেনজেমা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এ নিয়ে টানা ১৫ আসরে গোল করলেন বেনজেমা। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে প্রথম এ কীর্তি গড়েন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে চাপ ধরে রাখা রিয়াল ব্যবধান ৫-০ করে ম্যাচের ৮১তম মিনিটে। এবারও গোল করেন বেনজেমা। ডান দিক থেকে দানি কারভাহালের গোলমুখে বাড়ানো বল অনায়াসে জালে ঠেলে দেন নাম্বার নাইন।
ম্যাচ শেষের ঠিক আগে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রদ্রিগো। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বেনজেমার ডি-বক্সে বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়ায় কাছের পোস্ট দিয়ে জালে বল জড়ান তিনি। এরপরই বড় জয়ের আনন্দে মাতে জিনেদিন জিদান শিষ্যরা।
জয়ের আশা ছেড়ে দিয়ে নিজেদের রক্ষণ যতটা পারো সামলে খেল। এ নীতিতে দ্বিতীয়ার্ধে খেলছিল গ্যালাতাসারাই। মোটামুটি সফলও হতে যাচ্ছিল তারা। প্রথমার্ধে ৪ গোল হজম করলেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজেদের গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে পেরেছিল তারা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে জমাট রক্ষণ ভেদ করেন বেনজেমা। কার্বাহালের বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে জোড়া গোলের কোটা পূরণ করেন ফরাসি তারকা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ততক্ষণে শেষ। যোগ হওয়া সময়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন রদ্রিগো।