রবি ও মিলভিকের স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস

দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি ও মিলভিক বাংলাদেশ যৌথভাবে চট্টগ্রামে ‘বিশ্ব স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস’ উদ্যাপন করছে। স্তন ক্যানসারের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে তারা চট্টগ্রামের সিএনবি, বায়জিদ ও পাহাড়তলী এলাকায় তিন দিনের স্তন ক্যানসার সচেতনতা ও হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করে।
বাংলাদেশে ক্যানসার রোগীর প্রায় ১২ শতাংশ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। স্তন ক্যানসার সচেতনতা ও স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলোর তথ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে। হেলথ ক্যাম্পে স্তন ক্যানসারের ওপর সচেতনতা-বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সাধারণ ডাক্তাররা ছিলেন। প্রায় তিন হাজার জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন তারা বিনা মূল্যে। কুইজ, গেম শো, সেলফি প্রতিযোগিতা ও মেসেজ বোর্ডের মতো কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করা হয় ক্যাম্পে।
স্তন ক্যানসারের লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির এই আয়োজনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রুহি জাকারিয়া একটি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে স্তন ক্যানসার সচেতনতা নিয়ে আলোচনা করেন। পরে তিনি প্রশ্নোত্তর সেশনও পরিচালনা করেন।
রবির একটি অনন্য সেবা ‘মাই হেলথ’ ফ্যামিলি প্যাক। এটি এমন একটি মোবাইল হেলথ ও হাসপাতাল ক্যাশব্যাকের সেবা, যেখানে প্রতি মাসে মাত্র ৬০ টাকা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক সুবিধা উপভোগ করতে পারেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি ২১২১৬ কোডটিতে ডায়াল করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে এই ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হয়।
রবি মাই হেলথ সার্ভিস কীভাবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনে, তা অনুষ্ঠানে মাই হেলথের গ্রাহকদের বিমার চেক প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবির ইস্টার্ন ক্লাস্টার মার্কেট ডিরেক্টর এএসএম ইনায়েতুর রহিম বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, স্তন ক্যানসার একটি বিপজ্জনক রোগ। এটি মোকাবিলা করার সর্বোত্তম উপায় হলো সবাই মিলে একত্রিত হওয়া এবং রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মিলভিক বাংলাদেশ এই মহান মিশনে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় আমরা আনন্দিত।
মিলভিক বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার শ্রেয়া সরকার বলেন, মাই হেলথের হেলথ ক্যাম্পগুলো হচ্ছে আমাদের একটি প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে আমরা জনসাধারণের মাঝে পৌঁছাতে পারি, তাদের অভিজ্ঞ ডাক্তারের সেবা নিতে সাহায্য করতে পারি। আমরা বিশ্বাস করি স্তন ক্যানসার এমন একটি মারণব্যাধি, যা সময়মতো সঠিক সচেতনতার মাধ্যমেই প্রতিরোধ করা যায়। এই মাসে আমরা চেষ্টা করেছি জনসাধারণের কাছে, বিশেষ করে নারীদের কাছে এই সচেতনতা পৌঁছাতে।
চাঁদগাঁও ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন খালেদ, পশ্চিম ষোলশহরের ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী ও ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম আরশাদ উল্লাহ হেলথ ক্যাম্পগুলো উদ্বোধন করেন।

রবি
এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের (মালয়েশিয়া) অধীনস্থ কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড (রবি)। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। অপারেটরটি ডিজিটাল সেবা চালুর দিক থেকে অনেক ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে। রবিতে ভারতীয় এয়ারটেল ও এনটিটি ডকোমো ইনকরপোরেশনের আংশিক মালিকানা রয়েছে।

মিলভিক বাংলাদেশ
সম্ভাবনাময় বাজারগুলোয় যারা প্রথাগত পদ্ধতির বিমা সুবিধার বাইরে আছেন, তাদের মোবাইল ফোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সাশ্রয়ী বিমা ও স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সেবা সুবিধা দেয় মিলিভক। এটি একটি প্রযুক্তিগত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ক্রমবর্ধমান বাজারগুলোতে সুবিধাবঞ্চিত গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মোবাইল ফোন স্বাস্থ্য ও ইন্স্যুরেন্স সেবা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তিবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি ও নিবেদিত টিমই মিলভিকের মূল চালিকাশক্তি। আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার ১৫টি দেশে ২৬ মিলিয়ন গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে মিলভিক। মিলভিক বাংলাদেশে ২০১২ সাল থেকে রবি, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিসহ কয়েকটি শীর্ষ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

হিমোগ্লোবিন কথন
মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর মধ্যে রক্ত অন্যতম। দেহে রক্তের কোনো উপাদান কম থাকলে সুস্থভাবে বাঁচা সম্ভব নয়। রক্তে রয়েছে লাল রক্তকণিকা, সাদা রক্তকণিকা ও প্লেটলেট। লাল রক্ত কোষে আছে বিশেষ কিছু আয়রন কম্পাউন্ড। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে হিমোগ্লোবিন।
হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত কণিকায় থাকা এক ধরনের পদার্থ, যার জন্য রক্তের রং লাল হয়। রক্তে যে প্লাজমা, অণুচক্রিকা, হরমোন প্রভৃতি মিশ্রিত থাকে, তা মূলত বর্ণহীন। হিমোগ্লোবিন রক্তের ঘনত্ব বজায় রাখে; সে সঙ্গে রক্তরসে বিভিন্ন উপাদানের পর্যাপ্ততা নির্ণয় করে। মূলত এ কারণে রক্তে দূষিত পদার্থ মিশতে পারে না। আর রক্তে হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতি থাকে বিধায় রক্তের রং হয় লাল।
হিমোগ্লোবিন সব মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি একধরনের প্রোটিন, যা ফুসফুস থেকে অক্সিজেন দেহের সব কোষে সরবরাহ করে। মূলত দেহের কোষগুলোকে সক্রিয় ও কর্মক্ষম রাখার জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকা অতিপ্রয়োজনীয়। এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থা, শিশুদের বেড়ে ওঠা ও বিভিন্ন রোগ থেকে সেরে ওঠা পর্যন্ত লৌহের বেশি দরকার হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের রক্তে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ১২ থেকে ১৬ শতাংশ হিমোগ্লোবিন থাকা প্রয়োজন।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শরীরে কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়। বিশেষ করে দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা, মাথাব্যথা, ক্ষুধা না লাগা প্রভৃতি রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ। ফলিক এসিড, আয়রন, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি১২ প্রভৃতি উপাদানের অভাবে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০