রহস্যজনক ছুটিতে ডিএসইর সিআরও

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গুরুত্বপূর্ণ পদ চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও)। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে অফিস করছেন না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ছুটি নিয়ে বিদেশে গেলেও আর কাজে যোগ দেননি। ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও কাজে যোগ না দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। চলছে নানা গুঞ্জন।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এক মাস ছয় দিনের ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান সিআরও একেএম জিয়াউল হাসান খান। ছুটি শেষ হলে এখনও তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেননি। এমনকি তিনি দেশেও ফিরেননি বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিআরও নিয়ে ডিএসইর কোনো আগ্রহ নেই। তার কারণে ডিএসই একাধিকবার বিএসইসির কাছে বিব্রত হওয়ার তার অনুপস্থিতিকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

সবশেষ সামিট পাওয়ারের তিনটি কোম্পানির একীভূতকরণ ইস্যুতে তার অদক্ষতার কারণেই ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের শোকজ করা হয় বলে অভিযোগ একাধিক পরিচালকের। এছাড়া তিনি অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে আগামী মাসে তার চাকরির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তার মেয়াদ বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে সুপারিশ করতে চান না ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।

এদিকে ডিএসসির সিআরও এ বিষয়ে আগ্রহ না দেখালেও তার দীর্ঘ অনুপস্থিতি ভালোভাবে দেখছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, বাজারের ধারাবাহিক পতনের সময় সিআরও কীভাবে ছুটিতে থাকেন। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সাহেদুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, সিআরও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখে থাকেন। কিন্তু বাজার পতনের পরেও তার কাজে যোগ না দেওয়া এবং কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ব্যথিত ও বিস্মিত।

ডিএসই সূত্রে আরও জানা গেছে, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএএম মাজেদুর রহমানের কাছ থেকে টেলিফোনে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়েছেন। তবে কবে নাগাদ তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবেন তা এখনও নিশ্চিত নয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। তার এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আর  আসবেন কি না, তা নিয়েও পুঁজিবাজার পাড়ায় চলছে নানা গুঞ্জন।

এ প্রসঙ্গে ডিএসইর এমডি কেএএম মাজেদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের মার্চে ডিএসইর ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী তদারকি-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিআরও হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একেএম জিয়াউল হাসান খানকে অনুমোদন দেয়।