ভারতে কয়েকটি রহস্যময় মন্দির রয়েছে। মন্দিরগুলো বেশ আকর্ষণীয়ও বটে। পর্যটকদের টানে এসব মন্দির। জেনে নিন এমন পাঁচটি মন্দির সম্পর্কে
স্তম্বেশ্বর মহাদেব মন্দির
ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে এ মন্দিরটি দেখতে পাবেন। কারণ বেশিরভাগ সময় মন্দিরটি অদৃশ্য থাকে। গুজরাট প্রদেশের ভদোদরা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ স্তম্বেশ্বর মহাদেব মন্দিরটি। আরব সাগর আর ক্যাম্বি উপসাগরের মাঝামাঝিতে এর অবস্থান। বছরের বেশিরভাগ সময় মন্দিরটি সাগরের পানিতে ডুবে থাকে। ভাটার সময় পানি কমলে মন্দিরটি ভেসে ওঠে। তখন ভক্তরা প্রার্থনা সেরে ফেলেন।
বুলেট
রাজস্থানের যোধপুরে বুলেট পূজা করা হয়। শুনে হয়তো অবাক লাগছে, বুলেট পূজা! তবে বুলেটের তৈরি কোনো মন্দির নয় এটি। আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই। এ মন্দির তৈরি করেছে রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট মোটরবাইকের ভক্তরা। তাদের বিশ্বাস, বুলেট দেবতা পথদুর্ঘটনা ও রাস্তাঘাটের যে কোনো বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বুলেট দেবতার পূজা হয় কী দিয়ে? ফুল তো আছেই। কিন্তু এই দেবতাকে তুষ্ট করতে হয় মদ দিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা কোথাও যাওয়ার আগে বিপদ-আপদ থেকে বাঁচতে বুলেট দেবতাকে মদের বোতল দিয়ে পূজা সেরে রওনা হন। তাহলে যোধপুর বেড়াতে গেলে কেল্লা, মরুভূমি, উটের পাশাপাশি বুলেট মন্দির দর্শন না করলে ভ্রমণপিপাসুরা মিস করবেন।
চীনা কালীমন্দির
প্রাচীনকালে কলকাতায় চীনাদের আগমন ঘটে। কলকাতার ট্যাংরা এলাকায় এক টুকরো চীন রয়েছে। হয়তো অনেকে জানেন। কলকাতায় বাস তাদের আর কালীতে মজবে না, তা কি হয়! তাই ট্যাংরায় একদল চীনা নাগরিক কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজা শুরু করেন। এ মন্দিরের কালী প্রতিমার প্রাসাদ চীনের। আর প্রধান প্রসাদ হচ্ছে নুডলস।
করনি মাতা মন্দির
রাজস্থানের বিকানেরের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে করনি মাতা মন্দিরে ইঁদুরের পূজা করে ভক্তরা। এখানে কয়েক হাজার ইঁদুর রয়েছে। দেবতা গণেশের বাহন ইঁদুর। তবে এ মন্দিরে পূজা করা হয় ইঁদুরের, গণেশকে নয়। ভক্তরা পূজা শেষ হলে ইঁদুরদের দুধ, মিষ্টিসহ নানা খাবার খেতে দেয়।
এরোপ্লেন গুরুদ্বার
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধরে অবস্থিত এ গুরুদ্বারে ঢুকলে দেখা যায় বিভিন্ন আকারের খেলনা উড়োজাহাজ। মন্দিরে আসা ব্যক্তিরা উড়োজাহাজের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করেন। বিস্ময়কর মনে হতে পারে। আসলে জলন্ধরের এরোপ্লেন গুরুদ্বারে সবার একটাই প্রার্থনা, যেন বিদেশ যেতে পারেন। ভিসা হচ্ছে না বা ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে যেন ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা কেটে যায়; তাই এখানে পূজার্চনা করা হয়। মূলত বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছে রয়েছে যাদের তারাই ভিড় করেন গুরুদ্বারে।