ক্রীড়া ডেস্ক: ক্যারিয়ারের সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছেন তিনি। তবে যে সময় পেছনে ফেলেছেন তা সোনায় মোড়ানো! এবার সেই অধ্যায়ের ইতি টানলেন কার্লোস তেভেজ। দীর্ঘ ২০ বছরের দাপুটে এক ক্যারিয়ারের শেষ হলো। ৩৮ বছর বয়সী আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলের দুনিয়াকে বললেন গুডবাই।
পরিবারকে সময় দিতে সাময়িকভাবে ফুটবলকে বিদায় বললেন তেভেজ। ২০০১, ২০১৫ ও ২০১৮ তিন দফা আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের জার্সিতে খেলেছেন তেভেজ। এবার সেই পালা শেষে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে রহস্য রেখে তিনি বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে এখনও খেলার জন্য প্রস্তুত। মানসিকভাবে অবশ্য খেলতে চাই। যদিও এখানেই শেষ নয়। আবারও দেখা হবে। জানি না অবসর নিচ্ছি নাকি। যদি ফুটবলে ফিরি তাহলে বোকায় আর দেখা যাবে না। ’
মনটাও অস্থির হয়ে আছে তেভেজের। গত বছর কভিড-পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় পরলোকগমন করেন তার বাবা সেগুন্দো রাইমুন্দো। বাবাকে নিজের ‘এক নম্বর সমর্থক’ মনে করেন তিনি। বলেন, ‘দেখুন, সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, আমি কেন খেলা ছেড়ে দিচ্ছি, আমি তাদের বলেছি, আমি আমার এক নম্বর সমর্থককে হারিয়েছি। সেজন্যই আমার পক্ষে আর খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে তেভেজ জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। জুভেন্টাসের পক্ষে সিরি আ’ ট্রফিও উঠেছে তার হাতে। ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ী দলে ছিলেন তেভেজ। ২০০৪ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে অলিম্পিকে সোনাও জিতেছেন তেভেজ। তৃতীয় দফায় ২০১৮ সালে বোকায় যোগ দিয়ে দুটি লিগ শিরোপা জিতেন।
তেভেজ আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৭৩ ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ১৩ গোল। ২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপে ছিলেন লিওনেল মেসির সঙ্গী। তিনবার কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০০৪ সামার অলিম্পিকে স্বর্ণ জেতেন তিনি। বোকা জুনিয়র্সের হয়ে পাঁচবার আর্জেন্টাইন লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। পেয়েছেন কোপা লিভারতোদোরেস ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ শিরোপা।
ম্যানইউ থেকে আলোচনার জš§ দিয়ে তেভেজ যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম লিগ শিরোপা দলের অংশ তেভেজ। এরপর জুভেন্টাসের হয়েও খেলেন এই প্লেমেকার। ইতালির ক্লাবটির হয়ে দুবার সিরি আ’র শিরোপা জিতেছেন তিনি।
এ অবস্থায় রহস্য রাখলেন। এক আর্জেন্টাইন সাংবাদিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে তেভেজ বলেন, ‘আমি অবসর নিয়েছি, এটা নিশ্চিত। অনেক প্রস্তাব পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু এটা শেষ, আমি নিজের সবকিছু দিয়ে দিয়েছি। আমি খেলাটা থামিয়ে দিয়েছি।’ মানে বাবার মৃত্যুর পরই ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।