Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:40 am

রাইড শেয়ার চালকদের ছয় দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও অ্যাপনির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতিসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়ন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বলা হয়, রাইড শেয়ারের চালকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দাবির ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে স্মারকলিপি দেয়া হবে। তারপরও দাবি আদায় না হলে আবার রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন রাইড শেয়ারের চালকরা।

গত সোমবার রাজধানীর বাড্ডায় শওকত আলী নামের এক রাইডার তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তার আগে ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে শওকতের কাগজপত্র নিয়ে যান। মামলা না দেয়ার জন্য শওকত পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন। তিনি গাড়ির কাগজপত্র ফেরত চান। কিন্তু কাগজপত্র ফেরত না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেন শওকত।

এ ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন রাইড শেয়ারের চালকরা। মানববন্ধন থেকে ছয় দফা দাবি জানান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাপনির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, কর্ম-সময়ের মূল্য দেয়া, সব ধরনের রাইডে কমিশন ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা, মিথ্যা অজুহাতে কর্মহীন করা বন্ধ করা, পার্কিংয়ের জায়গা নির্ধারণ, তালিকাভুক্ত রাইড শেয়ারকারী যানবাহনকে গণপরিবহনের আওতায় নিয়ে আগাম কর কেটে রাখা বন্ধ করা।

প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় মানববন্ধন শুরু হয়। কর্মসূচি চলে তিন ঘণ্টা। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাইড শেয়ারের চালকরা বিভিন্ন সেøাগান দেন। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং সিলেটেও এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বলা হয়, রাইড শেয়ারের চালকের বাইক পুড়িয়ে ফেলা তারা সমর্থন করেন না। কিন্তু কোনো বাইকার কোন পরিস্থিতিতে এমন কাজ করতে বাধ্য হলেন, তা সরকারকে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া বাইকাররা বলেন, তাদের পিঠ  দেয়ালে ঠেকে গেছে। উবারসহ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা বেশিরভাগ টাকা কেটে নিচ্ছে। ফলে বাইকারদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাই তারা বাধ্য হয়ে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় কর্মবিরতি শেষ হলে সবাইকে কাজে ফিরে যেতে মানববন্ধন থেকে আহ্বান জানানো হয়।