ক্রীড়া ডেস্ক: দেখতে দেখতে টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর পার করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ ফরম্যাটে কীভাবে খেলতে হয়, সেটাই যেন এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি টিম টাইগার্স। তাইতো একের পর এক ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারতে হচ্ছে মুমিনুল হকদের। সে ধারাবাহিকতা তারা ধরে রেখেছে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরে।
গতকাল ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ৮৬ রান। কিন্তু ৪২ রান তুলতেই বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় টিম টাইগার্স। যে কারণে একদিন আগেই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ফল পেয়ে যায় পাকিস্তান। তাতে স্বাগতিকরা দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায়। আগামী এপ্রিলে করাচিতে হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে থামে ১৬৮ রানে। একমাত্র ইনিংসে পাকিস্তান করেছিল ৪৪৫ রান।
৬ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে গতকাল খেলতে নামা সফরকারীরা প্রথম ওভারেই হারায় মুমিনুল হককে। শাহিন শাহ আফ্রিদির স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। আম্পায়ার এলবিডব্ল– দিলে রিভিউ নেন। কিন্তু বাঁচতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৯৩ বল খেলে পাঁচটি চার মেরে ৪১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর রুবেল হোসেনকে সঙ্গী করে পরের ৭১ বল কাটান লিটন দাস। কিন্তু তাতেও ছন্দপতন ঠেকাতে পারেননি তারা। মোহাম্মদ আব্বাসের বলে এলবিডব্ল–র ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন রুবেল। ২৬ বলে ৫ রান করেন এ ডানহাতি।
সতীর্থের আসা-যাওয়া দেখে লিটন বড় শট খেলে রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বেশি ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন এ ডানহাতি। তারই খেসারত তিনি দেন এলবিডব্ল–র ফাঁদে পড়ে। প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি। তবে বোলারের পরামর্শে পাক অধিনায়ক আজহার আলী রিভিউ নিয়ে সফল হন। ফেরার আগে লিটন করেন ৫৯ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ২৯ রান।
লিটন ফেরার পর বাংলাদেশ ইনিংস টিকেছিল আর মাত্র ১০ বল। ইয়াসির শাহকে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে আসাদ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শেষ ব্যাটসম্যান আবু জায়েদ। আর তাতেই ইনিংস পরাজয়ের লজ্জায় পড়ে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সর্বশেষ ছয় টেস্টের পাঁচটিতেই এমন পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে সফরকারীদের।
পাকিস্তানের সেরা বোলার নাসিম শাহ। সবচেয়ে কম বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়া গতিময় এই পেসার ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ইয়াসির শাহ নেন ৫৮ রানে ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৩৩
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১২২.৫ ওভারে ৪৪৫
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ১২৬/৬) ৬২.২ ওভারে ১৬৮ (মুমিনুল ৪১, লিটন ২৯, রুবেল ৫, আবু জায়েদ ৩, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ১৬-৬-৩৯-১, আব্বাস ১৭.৪-৬-৩৩-১, নাসিম ৮.২-২-২৬-৪, ইয়াসির ১৭.২-৩-৫৮-৪, শফিক ৩-০-১২-০)।
ফল: পাকিস্তান ইনিংস ও ৪৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: নাসিম শাহ।