নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্পদ গোপন করতে চেয়েছিলেন রাজউকের এক সাবেক কর্মচারীর স্ত্রী। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি তার। অনুসন্ধানে নাছিমা আক্তার সীমা নামের ওই নারীর ৯৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদও অর্জন করেছেন। নাছিমা আক্তার সীমা রাজউকের কার্য তদারকি মান-১ এর সাবেক কর্মচারী মৃত ছফির উদ্দিন আকন্দের স্ত্রী।
এদিকে সম্পদ সন্ধানের পর সীমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বুধবার মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি দায়ের করা হয়। গত ১৭ এপ্রিল দুদক কমিশন মামলাটি দায়েরের অনুমোদন দেয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সীমা তার সম্পদ বিবরণীতে ৬৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৬ টাকার স্থাবর ও ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। তার গ্রহণযোগ্য ৩৩ লাখ টাকার আয় পাওয়া গেছে। ঋণ পরিশোধ ও পারিবারিক ব্যয় পাওয়া গেছে ১৭ লাখ টাকা। ব্যয়সহ তার অর্জিত সম্পদ পাওয়া গেছে ১ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকা। সীমার গ্রহণযোগ্য আয়ের চেয়ে ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ টাকার সম্পদ বেশি পাওয়া গেছে, যা তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ।