নাজমুল হুসাইন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট বসে প্রতি বছর। সারাদেশের প্রসিদ্ধ ও সেরা জাতের পশুর সমারোহ থাকে এসব হাটে। ঈদের কয়েক দিন আগে হাটগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে ক্রেতা সমারোহে।
এবারে ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য রাজধানীতে ২২টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৯টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৩টি হাট বসছে।
গত বছর রাজধানীতে সম্ভাব্য পশু কোরবানির সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ ৬১ হাজার ৪১০টি। আর সারা দেশে গত বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয় প্রায় এক কোটি চার লাখ পশু। এ বছর সর্বিকভাবে সারা দেশে পশুর চাহিদা ১০ শতাংশ
বাড়তে পারে। সে হিসেবে এবার কোরবানির জন্য সারা দেশে পশুর প্রয়োজন হবে প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ। ঢাকায় সেই সংখ্যা প্রায় চার লাখ ছুইছুই করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসসিসি এলাকার ১৩টি অস্থায়ী পশুর হাট
মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুর-খিলগাঁও রেলগেট বাজার-সংলগ্ন মৈত্রী সংঘের মাঠ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন-সংলগ্ন বালুর মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা, জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধসংলগ্ন জায়গা, আরমানিটোলা খেলার মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট এন্ড ক্লাব মাঠ, পোস্তগোলা
শ্মশানঘাট-সংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং সাদেক হোসেন খোকা মাঠসংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল ও সংলগ্ন খালি জায়গা।
ডিএনসিসির ৯টি হাট
কুড়িল, বসিলা, মিরপুর ডিওএইচএস, উত্তরার ১৫নং সেক্টর, খিলক্ষেত বনরূপা, আশিয়ান সিটি, ভাটারার সাঈদনগর, আফতাব নগর এবং মিরপুরের ৬নং সেকশন। গত বছরের হাটের স্থানের তালিকায় এ বছর কিছুটা রদবদল এসেছে ডিএনসিসি এলাকায়।
ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নাগরিক দুর্ভোগসহ নগরীর রাস্তাঘাট যেন অপরিষ্কার না হয় ও পশু আনা-নেওয়ার ফলে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সে বিষয় এবার হাটের স্থান নির্ধারণে বিবেচনা করা হয়েছে। এ কারণে কোরবানির পশুর হাটের জন্য এ বছর পুরোনো কয়েকটি জায়গা বাদ দিয়ে হাটের নতুন স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিবছর কোরবানির পশুর হাট নিয়ে নাগরিক ভোগান্তি বেড়ে যায়। পশু ব্যবসায়ীদেরও পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। এ বছরে তা কমানোর চেষ্টা থাকবে সংশ্লিষ্টদের। পশুর হাটের চাঁদাবাজিও বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে।
Add Comment