একেক দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও খাদ্যাবস্থা একেক রকম। প্রতিটি দেশের আলাদা সংস্কৃতি ও খাদ্যে ভিন্নতা রয়েছে। ঠিক তেমনি গ্রিসের রেস্টুরেন্ট কিংবা পথের সব মজাদার খাবারে রয়েছে নিজস্বতার ছোঁয়া। গ্রিসের খাবারের সুখ্যাতি রয়েছে বিশ্বজুড়ে। দেশটির খাবার যেমন রুচিসম্মত, তেমনি সুস্বাদু। অনেক ভোজনরসিক রয়েছেন সুযোগ পেলেই এসব বিখ্যাত খাবারের টানে দেশটিতে ভ্রমণ করে থাকেন। গ্রিসের সংস্কৃতির একটি অংশ হচ্ছে পরিবার, বন্ধু-বান্ধবসহ আড্ডা দিতে দিতে মজাদার খাবার খাওয়া।
এবার গ্রিসের এ মজাদার খাবার খেতে সেখানে পাড়ি দিতে হবে না। রাজধানীতে বসেই এর স্বাদ নিতে পারবেন। দেশটির স্বতন্ত্র রন্ধনশৈলী ও রসনার সঙ্গে আমাদের মেলবন্ধন ঘটাতে পাঁচতারকা হোটেল লে মেরিডিয়ান ঢাকা আয়োজন করেছে ‘গ্রিক ফুড ফেস্টিভ্যাল’। এ উৎসবে গ্রিসের বিখ্যাত খাবার ‘মুসাকা’সহ নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যাবে।
গ্রিসের সমৃদ্ধিশালী ইতিহাস ও ঐতিহ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে লে মেরিডিয়ান ঢাকা আয়োজন করেছে এ খাবার উৎসব। গত ২৮ অক্টোবরে শুরু হওয়া উৎসবটি শেষ হবে আগামীকাল। এথেন্সের বিখ্যাত গ্র্যান্ডে ব্রিটানিয়া হোটেলের জুনিয়র সু-শেফ আলেকজান্দ্রোস মার্কিজিয়ানিস তৈরি করেছেন উৎসবের খাবার। গ্রিসের অন্যতম জনপ্রিয় মুখরোচক খাবার মুসাকা মূলত কিমার সঙ্গে বেগুন ও আলু কিংবা নানা সবজি দিয়ে তৈরি। খেতে বেশ দারুণ! মাংসসহ সব মিশিয়ে অনেকটা স্যান্ডউইচের মতো করেও পরিবেশন করা হয় এটি।
মুসাকা ছাড়া গ্রিক সালাদ, অক্টোপাস ফ্রিটার, গ্রিক জাইরোস ও গার্লিক পিউরের সঙ্গে ভাজা কড মাছসহ নানা পদের গ্রিক ও ভূমধ্যসাগরীয় খাবারগুলো অনন্য স্বাদের। এছাড়া অতিথিরা মধু ও দারুচিনি দিয়ে তৈরি লুকোমেডসের সঙ্গে পাচ্ছেন জাজিকি সস।
লে মেরিডিয়ান ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার কন্সট্যান্টিনোস এস গ্রাভিয়েল বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিচারে বিশ্বে অনন্য একটি দেশ গ্রিস। গ্রিক খাবারও দেশে দেশে বেশ জনপ্রিয়। তাই ঢাকাবাসীদেরও আমরা সে স্বাদ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ আয়োজন করেছি।
উৎসবে জনপ্রতি খাবারের খরচ তিন হাজার ৯০০ টাকা থেকে শুরু। নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের কার্ডের জন্য ‘একটি কিনলে একটি ফ্রি’র বিশেষ ছাড়ের সুযোগ রয়েছে। এ উৎসবের এয়ারলাইন পার্টনার এমিরেটস। # দূরে কোথাও ডেস্ক
মন্তব্য