নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন, সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবারকে বিশ্ব ডিম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি)।
এদিকে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এক মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে আজ প্রতি পিস ডিম বিক্রি করা হবে মাত্র তিন টাকা করে। এ হিসাবে প্রতি হালি ডিমের দাম পড়বে ১২ টাকা। খুচরা বাজারে যখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায় তখন ১২ টাকায় এক হালি ডিম বিক্রি হবে শুনে ক্রেতারা খুশি। মেলা থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৯০টি ডিম কিনতে পারবে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
মেলায় বিভিন্ন পোলট্রি ফার্ম, ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ডিম দিয়ে নানা ধরনের খাবার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
মেলা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ডিমপ্রিয় মানুষের কথা বিবেচনা করেই মেলায় কম দামে ডিম বিক্রির এ সুযোগ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠনে আমাদের ডিম খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুরগির খাবারের মূল্যবৃদ্ধি, ডিমের কম দামসহ বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছেন পোলট্রি খামারিরা। সরকারের পোলট্রিশিল্পে নীতিমালা থাকলেও বাস্তবায়ন ও মনিটরিং না থাকায় এ শিল্প মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না।
এদিকে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে বিপিআইসিসি এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে র্যালি এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা শহরগুলোতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে ডিম দিবস পালিত হবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত ও এতিম শিশুদের মধ্যে বিনা মূল্যে ডিম বিতরণ করা হবে।
ঢাকায় সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ ঘুরে আবার তা কেআইবি কমপ্লেক্সে এসে শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
উল্লেখ্য, দেশে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি ডিম খাচ্ছে মানুষ। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেছেন, দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিমের মধ্যে পানি, প্রোটিন, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ এবং খনিজপদার্থ আছে। ডিম যেভাবেই রান্না হোক না কেন ডিমের পুষ্টিগুণ অবিকৃত থাকে। শুধু তাই নয়, সহজে হজম ও সম্পূর্ণ শোষিত হয় বলে ডিম আদর্শ পুষ্টিকর খাবার। এমনটিই জানিয়েছেন খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।
