Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:11 am

রাজধানীতে মিল্ক ভিটার ৬১ বিক্রয়কেন্দ্র চালু আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরবরাহ সংকট মেটাতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পণ্য বিপণনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা)। ফলে আজ থেকে রাজধানীতে মিল্ক ভিটার দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী বিক্রির জন্য সমবায়ীদের মাধ্যমে ৬১ বিক্রয়কেন্দ্র চালু হচ্ছে।

এদিকে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরেও সমবায়ীদের মাধ্যমে মিল্ক ভিটার পণ্য বাজারজাত করা হবে। এসব তরল দুধ ছাড়াও মিল্ক ভিটার গুঁড়ো দুধ, ঘি, মাখন, টক ও মিষ্টিদই, রসমালাই, লাবাং (ঘোল) ও আইসক্রিম বিক্রি হবে এসব আউটলেটে।

সমবায় প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মিল্ক ভিটার পণ্য সহজে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে রাজধানীতে একযোগে ৬১টি বিক্রয়কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। এগুলো সমবায়ীরা পরিচালনা করবেন। এজন্য তাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। বর্তমানে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান কার্যালয়ের পাশে শুধু একটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। নতুন করে রাজধানীর বাসাবো, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, গুলশান, কাফরুল, তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্লবী, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, রামপুরা, ডেমরা, সূত্রাপুর, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ ও মগবাজার এলাকায় এসব বিক্রয়কেন্দ্র খোলা হবে।

এত দিন ধরে মিল্ক ভিটা তাদের পণ্য নির্ধারিত কিছু ভ্যানগাড়িতে করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতো। এ কোম্পানির প্যাকেটজাত দুধ ও অন্যান্য পণ্যের চাহিদাও বেশি। তাই নতুন আউটলেট খোলা হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা। তারা বলেন, অন্যান্য কোম্পানির আধুনিক বিপণন ব্যবস্থার সঙ্গে বর্তমান বিপণন ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না।

বর্তমানে সারা দেশে প্রতিদিন মিল্ক ভিটার প্রায় সোয়া লাখ লিটার পাস্তুরিত তরল দুধ বিক্রি হয়, যা কয়েক বছর আগেও চার লাখ লিটার ছিল। বিপণন ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বাজার হারিয়েছে। অথচ গ্রাহক পর্যায়ে মিল্ক ভিটার পাস্তুরিত তরল দুধের চাহিদা বেশি।