রাজধানীতে শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, বসুন্ধরায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মেলার উদ্বোধন করেন। মেলা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেডকার্পেট ৩৬৫ লি. চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোনজুর আলম খান, সিইও আহমেদ ইমতিয়াজ, চায়না টেক্সটাইল মেশিনারি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস সেক্রেটারি জেনারেল ফারুক হাসান প্রমুখ।  মেলায় ১২টি দেশ হতে প্রায় ১৮০টি স্টল তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলোÑস্বাগতিক বাংলাদেশ, চীন, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক ও আমেরিকা।

রেডকার্পেট ৩৬৫ লি. এর সিইও ইমতিয়াজ বলেন, প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ডিলার ও সরবরাহকারীরা তাদের পণ্যের নতুনত্ব এবং এ খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরবেন। যার ফলে বাংলাদেশের শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার ও মার্চেন্ডাইজার ভীষণ উপকৃত হবেন বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডেনিম কাপড় রফতানিতে শীর্ষে এবং নিটওয়্যার পোশাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রতি তিনজন ইউরোপিয়ানের মধ্যে একজন বাংলাদেশের তৈরি টি-শার্ট এবং প্রতি পাঁচ আমেরিকানের মধ্যে একজন বাংলাদেশের তৈরি ডেনিম জিন্স পরে থাকেন। আর এই গুরুত্বপূর্ণ বস্ত্র ও পোশাক খাতের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে প্রয়োজন যথোপযোগী মেশিনারি, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, সুতা, কাপড়, ডাইজ ও মানসম্পন্ন কেমিক্যালের সরবরাহ অতি জরুরি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের দেশি ও বিদেশি প্রস্তুতকারক, ডিলার ও সরবরাহকারীরা তাদের কাক্সিক্ষত ক্রেতা হিসেবে বস্ত্র ও পোশাক খাতের প্রস্তুতকারক, রফতানিকারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিটুবি সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হবেন।

প্রধানমন্ত্রীর শক্তিশালী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ সরকার রফতানি হতে ৬০ বিলিয়ন ডলার অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও বিশ্ব গার্মেন্ট খাতের তীব্র প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় আমাদের বস্ত্র ও পোশাক খাতকে ভ্যালু অ্যাডেড এবং হাই অ্যান্ড পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিতে সক্ষমতা অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে।

আর তাই বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাকশিল্প এবং সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে জড়িত সব ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক, উদ্যোক্তা, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্চেন্ডাইজারদের নাগালের মধ্যে বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতির নতুনত্ব ও খুঁটিনাটি পৌঁছে দিতে এ প্রদর্শনীগুলো সন্দেহাতীতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০