নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ৬৪ স্থানে বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) বোর্ড সভায় তিনি একথা বলেন।
রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার নাগরিকদের সুবিধার্থে মোট ৬৪টি পার্কিং স্পট অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডিটিসিএ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ পুল গঠন করার জন্য সিদ্ধান্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, পরিবহনসহ অন্যান্য বিষয়াদি সমাধানে দ্রুত স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে একটা অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং পাশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়ররা বসবেন। মন্ত্রণালয়, ডিটিসিএসহ সব মেট্রোপলিটন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশÑতারা বসে একটা সমন্বিত পদক্ষেপ প্রোগ্রাম নেবেন এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে ঢাকার সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি এবং অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এ কাজ রাতারাতি সম্ভব নয়। এ জন্য আবারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কাজ সিটি করপোরেশন ও ডিটিসিএ’র সহযোগিতায় পুলিশ পালন করবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জন্য কম্প্রিহেনসিভ ট্রান্সপোর্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া রিং রোড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে আন্তঃবাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়া হবে। এজন্য স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ পরিবহনসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মহানগরীর যেসব স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইক চলাচল করছে, সেসব এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে ডিটিসিএ ও সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় পুলিশ এসব যানবাহন বন্ধের কাজ করবে। রাজউক থেকে ভবনের অনুমোদনের সময় ডিটিসিএর ক্লিয়ারেন্স লাগবে। এছাড়া বাস-বে নির্মাণের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
