নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টিকার আওতায় আনার অংশ হিসেবে রাজধানীতে শুরু হলো দোকান মালিক-কর্মচারীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় গোটা রাজধানীকে ১০টি জোনে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে চলবে এই টিকা কার্যক্রম।
গতকাল কার্যক্রমের প্রথম দিন উত্তরা জোনের সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে সিনোভ্যাকের প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়। ১৮ বছরের বেশি বয়সী টিকাগ্রহীতার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশন করে দেয়া হয় টিকা। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম।
উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আয়োজিত টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনী দিন উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
সরকারের পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছেÑউল্লেখ করে ইপিআই’র পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ‘দেশের মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় আনতে কাজ চলছে। আর টিকা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।’
সোসাইটির কভিড-১৯ কার্যক্রমের অপারেশন ইনচার্জ রেজওয়ান নবীন জানান, ‘রাজধানীতে আরও ৯টি ধাপে চলবে টিকা প্রদান কর্মসূচি। পুরো ঢাকার অর্ধলক্ষাধিক ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারীদের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির।’
কোকাকোলা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ দোকান-মালিক সমিতির উদ্যোগে মাসব্যাপী এ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশিক্ষিত ১০০ ভ্যাকসিনেটর ও ২০০ স্বেচ্ছাসেবক।
উল্লেখ্য, সরকারের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা। এ পর্যন্ত সারাদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষের টিকা দিতে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।