শেয়ার বিজ ডেস্ক: দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কারাবন্দি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদসহ বেশ কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতাকে মুক্তি দিতে সুপ্রিমকোর্ট গত বৃহস্পতিবার আদেশ দেন। এ আদেশ না মানায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনকে অপসারণের চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মেদ অনিল। সুপ্রিমকোর্টের এ আদেশ ঘিরে দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে। খবর আল জাজিরা, রয়টার্স।
সুপ্রিমকোর্টের দেওয়া আদেশ বাস্তবায়নে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ এনে গতকাল রোববার তার পদত্যাগের দাবিতে সংসদ সচিবালয়ে পিটিশন দিয়েছেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। এর পরপরই রাজধানী মালিতে অবস্থিত দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশে অবস্থান নেন সেনাবাহিনীর দাঙ্গা ইউনিটের সদস্যরা।
প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনকে অভিশংসনের জন্য সুপ্রিমকোর্ট চেষ্টা করছেন বলে অ্যাটর্নি জেনারেল অভিযোগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পার্লামেন্ট সিলগালা করে দেয় দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী।
সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্ট বিরোধী ওই ৯ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তাদের মুক্তির নির্দেশ দেন, কিন্তু সরকার তাতে মোটেও কর্ণপাত করছে না। বিরোধীদলীয় ওই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন মালদ্বীপে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। তিনি বর্তমানে নির্বাসনে বসবাস করছেন ব্রিটেনে। মুক্তির নির্দেশ দেওয়া আরও একজন বিরোধী নেতা এখন নির্বাসনে রয়েছেন। বাকি সাতজনকে রাখা হয়েছে মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় জেলখানায়। এটি মাফুশি দ্বীপে অবস্থিত।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট ওই রায় দেওয়ার পরেই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়ামিন তার পুলিশপ্রধানকে বরখাস্ত করেন। এরপর যে ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত পুলিশপ্রধান হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন, তাকে বরখাস্ত করেন গত শনিবার। একই সঙ্গে মাফুশি জেলখানার পরিচালকও শনিবার পদত্যাগ করেছেন। বিরোধীরা মনে করছেন এর মাধ্যমে সরকার সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।