প্রতিনিধি, রাজবাড়ী : মুসলিম রচিত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী ধারার প্রবর্তক বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৫তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রবর্তক কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৫তম জš§বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদীতে কবির সমাধিস্থলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন মুসলিম বাংলা সাহিত্যের অগ্রপথিক। তার আগে কোনো মুসলমান সাহিত্যিকই এত সাহিত্যক্ষেত্রে অগ্রসর হননি। তিনি সাহিত্যের সব শাখায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। এদিক থেকে তিনি মুসলিম জাগরণের পথিকৃৎ। বাংলা গদ্য সাহিত্যের এ কালজয়ী লেখক ও বিশিষ্ট মনীষী মীর মোশাররফ ১৯১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেলদুয়ার এস্টেটে ম্যানেজার থাকাকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে মীরের জš§বার্ষিকী ঘিরে বাংলা একাডেমির আয়োজনে বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার জš§বার্ষিকী পালিত হয়।
আলোচনা সভায় ডিসি আবু কায়ছার খানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম, উপপরিচালক ডা. সাহেদ মুনতাজ, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা, রাজবাড়ী মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ছালাম তাছির, বালিয়াকান্দি মীর মশাররফ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মুন্সি আমির আলী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
আলোচকরা বলেন, মধ্যযুগীয় ধর্মচেতনার জীবনবিমুখ আচ্ছন্নতাকে অপসারিত করে ইহলোকের ইন্দ্রীয়পরবশ মানব-মানবির হর্ষশোকের মহামূল্যকে কল্পনালোকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন মীর মশাররফ হোসেন। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে তাই মীর মশাররফ হোসেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
