প্রতিনিধি, রাজবাড়ী: রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কালুখালী চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে গতকাল বুধবার ট্রাক, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে একই পরিবারের ছয়জনসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তারা রাজবাড়ী ও কালুখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকার সকাল ৯টায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেনÑপাংশা উপজেলার মোতালেব হোসেনের স্ত্রী মসিরন বেগম (৬০), মসিরন বেগমের মেয়ে মরিয়ম বেগম (৪৫), মর্জিনা বেগম (৪০), মরিয়মের মেয়ে শিলা (১৮), মর্জিনার দুই ছেলে নয়ন (৬) ও ইউসুফ (৮) এবং তাদের বহন করে নিয়ে যাওয়া ইজিবাইক চালক একই গ্রামের মো. বছির মিয়ার ছেলে মো. নাসির (৩৫)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে তিনজন এবং পরে আরও চারজন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন। দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ট্রাককে জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়েছে বলে তিনি জানান।
নিহত মসিরনের ভাই আক্কাস আলী জানান, তার বোন মসিরন দুই মেয়ে ও দুই নাতিকে নিয়ে তার ছেলে ইসলাম শেখকে দেখার জন্য রাজবাড়ী কোটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় কালুখালি এসে পৌঁছালে ট্রাক চাপা দেয়। তিনি আরও জানান, তার বোনের ছেলে ইসলাম জমিজমা-সংক্রান্ত একটি মারামারির মামলায় জেলহাজতে আছেন। আজকে তার জামিন শুনানি ছিল। বুধবার সবাই একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকযোগে রাজবাড়ীর আদালতে যাচ্ছিলেন মরিয়ম বেগমের ছেলে ইসলামের জামিন ধরার জন্য। পথে কালুখালীতে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। যারা নিহত হয়েছেন তাদের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন সাহা।