প্রতিনিধি, রাজশাহী: ২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কাঠালবাড়িয়া নুরুন্নবীকে বাড়িতে ডাকে মফিজ উদ্দিন ও দেরাজ উদ্দিনের স্ত্রী ফুলজান বিবি ফুলজান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন মফিজ। নরুন্নবী সেখানে যাবার পরই মফিজের সাথে তার ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ফুলজান একটি ধারাল হাঁসুয়া মফিজের হাতে তুলে দিয়ে নুরুন্নবীকে হত্যা করতে বলেন। এ সময় নুরুন্নবীর গলায় আঘাত করে মাথা আলাদা করে ফেলেন মফিজ। দীর্ঘ ৮ বছর পর কৃষক নুরুন্নবী হত্যায় নারীসহ দুইজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) অপরাধ দমন ট্রাইবুন্যাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আকবর আলী শেখ আট বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত দু-জনকে প্রাণদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।
ট্রাইবুন্যালের পিপি আসাদুজ্জামান মিঠু জানান, ফুলজানের সঙ্গে পরকীয়া ছিল মফিজ উদ্দিনের। একদিন ফুলজানের বাড়িতে মফিজকে দেখে ফেলেন নূরনবী। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নুরুন্নবীকে হত্যার হুমকি দেন মফিজ।
জানা যায়, নুরুন্নবীকে বাড়িতে ডেকে মফিজ উদ্দিন ও দেরাজ উদ্দিনের স্ত্রী ফুলজান বিবি ফুলজান হত্যা করে। এরপর মফিজ ও ফুলজান নুরুন্নবীর দেহ একটি বস্তায় ভরে বিলে এবং মাথাটি অন্য স্থানে ফেলে দিয়ে আসেন। পরে দুর্গাপুরের কান্দরে বিল থেকে নুরুন্নবীর মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর ফুলজানের বাড়ি থেকে কান্দরে বিল পর্যন্ত রক্ত দেখে স্থানীয়রা তার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে পুলিশ ফুলজান, তার স্বামী দেরাজ, ছেলে আব্দুর রহিম ও মফিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ফুলজান ও মফিজ হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় নুরুন্নবীর ছেলে হাসেম আলী বাদী হয়ে দূর্গাপুর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।