Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:07 am

রাজশাহীতে চড়া তরমুজের দাম

শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহীর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। গ্রীষ্মকাল শুরু না হলেও শহরের বেশ কয়েকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। আকৃতিতে ছোট হলেও দাম বেশ চড়া। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে যে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে, তা রাজশাহীর নয় অন্য জেলা থেকে নিয়ে আসায় দাম বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলায় এবার কোনো তরমুজ চাষ হয়নি। তবে গত বছর চাষ হয়েছিল ১০ হেক্টর জমিতে। অতিবৃষ্টি ও নি¤œমানের বীজের কারণে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার এক বিঘা জমিতেও চাষ হয়নি তরমুজ। তরমুজ চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগের কোনো প্রকল্পও চালু নেই। বাজারে যে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা।

রাজশাহী মহানগরীর শালবাগান আড়তে তরমুজ ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ জানান, বরিশাল, গাইবান্ধা, নোয়াখালী ও সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে এবার আগাম তরমুজ চাষ হয়েছে। সেসব স্থান থেকেই তরমুজ আসছে রাজশাহীতে। তিনি প্রতি ১০০ তরমুজ কিনেছেন আট হাজার টাকায়। সঙ্গে যোগ হয়েছে গাড়িভাড়া। তাই খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।

মহানগরীর সাহেববাজারের খুচরা তরমুজ বিক্রেতা আবদুল মজিদ জানান, প্রতিটি তরমুজের গড় ওজন আড়াই কেজি। আড়ত থেকে তিনি কিনেছেন প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে। বিক্রি করছেন ৫০-৬০ টাকা কেজি। বাজারে নতুন আসায় তরমুজের দাম একটু বেশি।

আরেক ব্যবসায়ী মজিবর রহমান জানান, গরম যত বাড়বে তরমুজের বিক্রিও তত বাড়বে। প্রথম দিকে দাম একটু বেশিই থাকবে। তবে কিছুদিন পর দাম কমে আসবে। এখন প্রতিদিন ৪০-৫০ কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন তিনি।

আবদুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, ব্যবসায়ীরা দাম চাইছেন বেশি। দাম শুনেই গলা শুকিয়ে কাঠ। শুধু ছোট বাচ্চা পছন্দ করে বলে তিনি কিনলেন। তা না হলে এখন কিনতেন না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক জানান, তরমুজ সাধারণত চরের জমিতে ভালো হয়। কিন্তু রাজশাহীর চরগুলোতে তরমুজ চাষ হয়নি। গত বছর মাঠের ১০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। অতিবৃষ্টিতে তরমুজ ভালো হয়নি। তাই কেউ এবার চাষই করেননি। চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে।