প্রতিনিধি, রাজশাহী: করোনা সংক্রমণ রোধে রাজশাহী জেলার সব বিপণিবিতান, শপিং মল, বিনোদনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে এই নির্দেশনার বিষয়ে মানুষকে জানাতে গত শুক্রবার রাতে নগরের কয়েকটি এলাকায় পুলিশকে মাইকিং করা হয়েছে। তবুও প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকটি কোচিং সেন্টার। থেমে নেই ভর্তি, ক্লাস কিংবা পরীক্ষা। অন্যদিকে অন্যান্য কোচিং সেন্টার নির্দেশনা অনুযায়ী দু-দিন আগ থেকেই বন্ধ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে একটি ছোট্ট কক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নিচ্ছে ৬ থেকে ৭ টি কোচিং সেন্টার। প্রশাসনের নাকের ডগায় দিন রাত চলছে তাদের এ অবৈধ ব্যবসা। সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় তারা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে, রাজশাহী জেলা প্রশাসন কোচিং বন্ধে শীঘ্রই পদক্ষেপ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
শহরের লক্ষীপুর ঝাউতলা মোড়ে অবস্থিত নিউরণ ও নেফ্রণ কোচিং সেন্টার; রাজশাহী নেসকো বিদুৎ অফিসের পাশে নিউরণ প্লাস ও রয়েল মেডিকেল কোচিং সেন্টার; রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভবনের পাশে আইরিশ কোচিং সেন্টার; পুরাতন পাসপোর্ট অফিসের সামনে (হাতেম খাঁ) নিকুঞ্জ কেমিস্ট্রি প্রাইভেট সেন্টার এবং বর্ণালী মোড়ে লেবার অফিসের পেছনে রয়েল মেডিকেল কোচিং সেন্টার।
বিধিনিষেধে কোচিং চালু থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে নিউরণ কোচিং সেন্টার জানায়, ‘আমরা আমাদের মতো চালাচ্ছি। সবকিছু বন্ধ হলেও কোচিং চালু আছে। নিয়মিত ক্লাস, ভর্তি, পরীক্ষা সবই চলছে।’
সূত্র জানায়, কোচিং সেন্টারগুলোতে কর্মরত শিক্ষকরা প্রশাসন, সাংবাদিক ও সরকারি দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল শেয়ার বিজকে বলেন, কোচিং সেন্টার চালু রাখার কোন পথ নেই। যেসব কোচিং সেন্টার এখন পর্যন্ত চালু রয়েছে জানতে পারলে তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হবে। করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ অমিক্রন সংক্রমণ রোধে সব বিপণিবিতান, শপিং মল, বিনোদনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে কভিড-১৯ সংক্রমণ হু-হু করে বেড়েই চলেছে। আর এতে ১৬ জানুয়ারি থেকেই রাজশাহী জেলা রেড জোনে রয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন।