প্রতিনিধি, রাজশাহী: সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও শুরু হতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন। এবারে এই ক্যাম্পেইনে রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মোট ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৫১ জন শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সারাদেশে বছরে দুইবার এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। আগামী ৪ জুন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পেইনটি চলবে ৭ জুন পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি পূরণ করা। ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
বুধবার রাজশাহী সিভিল সার্জন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রাজিউল হকসহ সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা। মতবিনিময় সভায় শিশুদের শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ডি’র ঘাটতির প্রভাব সম্পর্কে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
পরে সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, ৫ বছরের নিচের বয়সের শিশুদের শরীরে, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি বেশি লক্ষ করা যায়। ভিটামিন ‘এ’ মানবদেহে তৈরি হয় না। সুষম খাবারের মাধ্যমে তা মানবদেহে যায়। সম্পূরক খাবার বা ক্যাপসুলের মাধ্যমে বছরে দুই বার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
শিশুদের একবার এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হলে অন্তত ৪ থেকে ৬ মাস খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় না। এতে করে শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তবে অসুস্থ শিশু ও ৫ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের এবং ৪ মাসের মধ্যে খাওয়ানো হয়ে থাকলে তাদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। তাদের সুষম খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াতে হবে।
এ সময় জানানো হয়, জুন মাসে ৪ দিনের এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রাজশাহীর ৯টি উপজেলার ১ হাজার ৬১৭টি কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৫১ জন শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যাদের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস ২৯ দিনের শুরু রয়েছে ২৯ হাজার ৬৬২ জন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের শিশু রয়েছে ২৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৯ জন। এছাড়া একই ক্যাম্পেইনের আওতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার ২৪০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে নগরীতে বসবাসরত শিশুদের খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’।
সিভিল সার্জন জানান, এক সময় শিশুদের জন্য এ ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক ক্যাম্পেইনে গুজব বিরূপ প্রভাব ফেলত। তবে এখন অভিভাবকরা সচেতন। তারা গুজব বা অপপ্রচারে কান না দিয়ে তাদের শিশুদের সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্য বিষয়ক এ ধরনের ক্যাম্পেইনগুলোতে নিয়ে আনছেন।