রাজস্ব আহরণে ইমামদের সহায়তা চায় এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে একটি রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি চালু করার অংশ হিসেবে মসজিদের ইমাম ও মন্দিরের পুরোহিতদের সহায়তা চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় এ সহায়তা চাওয়া হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে অংশীদারি-বিষয়ক এ মতনিবিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল জলিল বিশেষ অতিথি ছিলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য মূল চাবিকাঠি অর্থ। দেশের উন্নয়ন করতে হলে অর্থের জোগান দিয়ে এ ভিত শক্ত করতে হবে। সেজন্য তিনি দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অনীহা প্রকাশ না করে আনন্দের সঙ্গে রাজস্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান। বিভিন্ন ধর্মীয় গুরু, ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজ নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে রাজস্ব প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজস্ব আহরণ না হলে দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে না। এনবিআর-ধর্ম মন্ত্রণালয় পার্টনারশিপের মাধ্যমে রাজস্ব সচেতনতায় এনবিআরের যেসব বার্তা রয়েছে, তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্মসচিব বলেন, করব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে রাজস্ব আহরণ শতভাগ সফল হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এনবিআরের অংশীদারত্বের মাধ্যমে দেশের করযোগ্য সব মানুষকে করজালের আওতায় আনার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। প্রত্যেক ধর্ম রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালনার জন্য রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে সমর্থন করে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে প্রতিটি ধর্মের মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব আছে। এনবিআর রাজস্ব সচেতনতার বুকলেট দিলে ধমর্ মন্ত্রণালয় সারা দেশে তা পৌঁছে দেবে।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব প্রদানের বিষয়ে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ইমামদের নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যেসব প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে, সেখানেও একইভাবে নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসব ধর্মীয় নেতারা পরে জনগণকে রাজস্ব সম্পর্কে সচেতন করবেন। মসজিদে খুতবার সময় যাতে রাজস্ব বিষয়ে বলা হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। নৈতিক দায়িত্ব থেকে ধর্মীয় নেতারা রাজস্ব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিলে অন্তত ১০ লাখ মানুষকে করের আওতায় আনা যাবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআরের মতো ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যাপ্তি সারা দেশ। রাষ্ট্রের সর্বত্র বিরাজমান রাজস্ব বোর্ড ও ধর্ম মন্ত্রণালয়। এনবিআর-ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিটি ক্ষেত্রে একত্রে কাজ করতে পারি। সারা দেশে তিন লাখ মসজিদ, অসংখ্য মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা সব জায়গায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম রয়েছে। এসবের মাধ্যমে যাতে রাজস্ব বার্তা, শিক্ষা যথাযথভাবে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যায় সেজন্য এনবিআর কিছু প্রকাশনা তৈরি করছে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০