নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলেও আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি রাজস্ব আহরণ করেছে। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আদায় করেছে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা, যা আগের বছরের হয়েছিল ৬২ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা তাদের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এক বছরে সর্বোচ্চ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। তার বিপরীতে সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আদায় করেছে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা, যা আগের বছরের হয়েছিল ৬২ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা তাদের
ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এক বছরে সর্বোচ্চ, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি রাজস্ব আহরণ করেছে। যদি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ৯ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, এর আগে কখনও ৬৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়নি। সে হিসাবে এক অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে মাইলফলক এটি। যদিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলেও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও আমরা রেকর্ড রাজস্ব আদায় করতে পেরেছি। এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখিছি। তবে অর্থবছরের শেষ মাসে আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব আদায়ও বেশি হওয়ার কথা থাকলেও মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
সিএসএফ ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও বন্দরব্যবহারকারীরা বলেন, ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ডলার-সংকটে পণ্য আমদানি কমতে থাকে। আর ২০২৩ সাল পুরো বছরজুড়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণে আরও কড়াকড়ি অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এসবে প্রভাব ২০২২-২৩ অর্থবছরের দেশে আমদানি ও রপ্তানি কম হয়েছিল। ফলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আহরণ কম হয়েছিল। এখন ডলারের বিনিময় হার বাড়লেও ডলার সংকট নেই। ফলে স্বাভাবিক হয়েছে দেশের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। ফলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আহরণে রের্কড হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির ইতিবাচক চিত্র।