রাজস্ব ফাঁকি বিষয়ে গ্রামীণফোনের বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ-ভ্যাট) পাঠানো একটি অভ্যন্তরীণ চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে যে কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলির বক্তব্য দিয়েছেন। চিঠিতে এলটিইউ-ভ্যাট ২০১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার অপরিশোধিত ভ্যাট এবং বিধিবহিভর্‚ত কর রেয়াত গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মাইকেল ফোলির বক্তব্যে বলা হয়, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের বৃহত্তম করদাতা। পাঁচ বছরে আমরা কর ও বিভিন্ন ফি হিসেবে সরকারি কোষাগারে ৩০ হাজার ৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছি। আমি সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি যে, এলটিইউ-ভ্যাট, বিএসইসির কাছে লেখা চিঠিতে নির্দিষ্ট কিছু মামলার কথা উল্লেখ করেছে। আমি আবারও উল্লেখ করতে চাই, ওই মামলাগুলো বিভিন্ন বিচারিক আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্তে¡ও আমরা এনবিআর, এলটিইউ-ভ্যাট ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এগুলো সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও আমরা অব্যাহতভাবে প্রতিটি মামলা পর্যালোচনা করছি এবং আইএফআরএস ও বিএফআরএসসহ সব আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় হিসাবরক্ষণ মান অনুসরণ করে আমাদের অ্যাকাউন্টসে প্রয়োজনীয় প্রভিশন গ্রহণ করি।

অন্য যে কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মতো বিভিন্ন সময় কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের মতানৈক্য হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে আদালতই মতানৈক্য দূর করার যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং আমরা চ‚ড়ান্ত রায় মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এলটিইউ-ভ্যাট যে মামলাগুলোর উল্লেখ করেছে, তার মোট অর্থের পরিমাণ পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে আমাদের প্রদত্ত অর্থের ৬.৭ শতাংশ মাত্র। কিন্তু এ অর্থের পরিমাণ অল্প নয় এবং আমাদের এসব বিরোধপূর্ণ দাবির বৈধতার বিষয়ে আইনগত সমাধান প্রয়োজন। কারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থরক্ষার বিষয়ে আমাদের গভীর দায়িত্ববোধ রয়েছে।

এনবিআর ও ভ্যাট-এলটিইউ’র কঠোর পরিশ্রমের বিষয়ে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাবোধ আছে। কারণ তাদের কাজ খুবই কঠিন। বাংলাদেশের প্রতি গ্রামীণফোন প্রতিশ্রæতিবদ্ধ এবং আমরা এ মামলাগুলোর ন্যায্য ও স্বচ্ছ সমাধান চাই।

উল্লেখ্য, সিম রিপ্লেসমেন্ট, বিধিবহিরভূত রেয়াত এবং স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার বিপরীতে ভ্যাট পরিশোধ না করে গ্রামীণফোন দুই হাজার ১৫ কোটি টাকা ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনস্থ বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ, ভ্যাট) বিভিন্ন সময় এ অর্থ পরিশোধে দাবিনামা জারি করলেও তাতে সংক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করে গ্রামীণফোন, যা এখনও চলমান। নিয়মানুযায়ী এ দাবিনামার বিপরীতে সমপরিমাণ অর্থ প্রভিশন হিসেবে রাখতে হয়। কিন্তু তা রাখেনি গ্রামীণফোন। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে গত বুধবার চিঠি দেয় এনবিআর।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০